ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

গণতান্ত্রিক শক্তিকে সজাগ থাকতে হবে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৬
গণতান্ত্রিক শক্তিকে সজাগ থাকতে হবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকায় গণতন্ত্র বিকাশের পথ সুগম হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়রে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের মিলনায়তনে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কালো দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

২০০৭ সালের ২০-২৩ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের ওপর সংঘটিত অমানবিক, বেদনার্ত ও নিন্দনীয় ঘটনা স্মরণে দিবসটি পালন করা হয়।

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিল। এ লক্ষ্যে তারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে।


উপাচার্য আরও বলেন, তখন অনেকেই সংস্কারপন্থি হিসেবে মাঠে নামেন। এ প্রেক্ষিতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় তৃণমূলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ যোগ দেন। সভা থেকে মো. জিল্লুর রহমান ঘোষণা করেন, ‘আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আমরা নির্বাচনে যাব না’। এরপরই রাজনৈতিক চিত্র পাল্টে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সাধারণ মানুষের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ তখন অন্ধকার থেকে মুক্ত হয়।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আলী আকবরসহ কারা নির্যাতিত দু’জন ছাত্র, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতরা।

আলোচনা সভা পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান।

২০০৭ সালের ২০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ফুটবল খেলা দেখার সময় কতিপয় সেনাসদস্য ছাত্রদের মারধর করেন। এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ ছাত্র সমাজ আন্দোলন গড়ে তোলে। এ প্রেক্ষিতে তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকার সান্ধ্য আইন জারি করে এবং ২৩ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪জন শিক্ষক এবং ৮জন ছাত্রকে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৬
এসকে/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।