ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শুক্রবার শহীদ মিনারে সমাবেশ করবে জবি শিক্ষার্থীরা

জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৬
শুক্রবার শহীদ মিনারে সমাবেশ করবে জবি শিক্ষার্থীরা ছবি: শাকিল-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: হলের দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা দু’দিনের ধর্মঘট শেষে আরও দু’দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। তারা জানিয়েছেন, আগামী শুক্রবার (২৬ আগস্ট) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংহতি সমাবেশ করবেন।

একইদিন সন্ধ্যায় তারা শাহবাগে মশাল মিছিল করবেন। এর পরদিন (২৭ আগস্ট) আন্দোলনের সমর্থক সারাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করবেন।

দু’দিনের ছাত্র ধর্মঘটের শেষ দিন বুধবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর পল্টন মোড়ে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনের মুখপাত্র রহুল আমিন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি জানান, শনিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য না এলে তারা কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন।

সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা। এরপর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাব অভিমুখে রওনা হন তারা। শিক্ষার্থীরা পল্টন মোড়ে চলে এলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের চারদিক থেকে আটকে দেয়। এর ফলে তারা পল্টন মোড় এলাকায় অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন। এ কর্মসূচি দুপুর ১টায় শেষ করার পর সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। রুহুল আমিন  বলেন, নতুন কর্মসূচি হিসেবে শুক্রবার বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে সংহতি সমাবেশ করা হবে। একইদিন শাহবাগে বের করা হবে মশাল মিছিল। এর পরদিন শনিবার দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন করার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।

আন্দোলনের মুখপাত্র জানান, শনিবারের মধ্যে হল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য না পেলে রোববার থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তারা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি এফ এম শরিফুল ইসলাম ১০-১২ জন নেতাকর্মী নিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাইক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় মাইক হাতে রাখা একজনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলেও দেওয়া হয়।  

শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। তারা বলেন, আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের গড়ে উঠা ঐক্য নষ্ট করার জন্য চেষ্টা চলছে।

এদিকে বিকেল ৩টায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান। হলের দাবিতে আগস্টের প্রথম থেকে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এ দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি নিয়ে গত সোমবার (২২ আগস্ট) সকালে শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বংশাল এলাকায় ‍তাদের ‘বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ করে’। তৎক্ষণাৎ শিক্ষার্থীরা নয়াবাজার মোড়ে অবস্থান নিয়ে অবরোধ পালন করতে থাকেন। এরপর দুপুরে শিক্ষার্থীরা ২৩ ও ২৪ আগস্ট ধর্মঘট কর্মসূচি ডাকেন।  দু’দিনের এ কর্মসূচিতে তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

প্রতিষ্ঠার প্রায় ১১ বছর পার হলেও এই মুহূর্তে কোনো হল নেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি)। এর আগে ২০০৯, ২০১১, ২০১৪ সালে হল নিয়ে জোরালো আন্দোলন হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
 
শিক্ষার্থীদের দাবি, আন্দোলনের সময় প্রশাসন কিছুটা দৌড়ঝাপ দেখালেও পরবর্তী সময়ে আর কোনো তৎপরতাই দেখা যায় না তাদের।
 
শিক্ষার্থীদের এবারের আন্দোলনে সমর্থন রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এবং আওয়ামী লীগ ও বামপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের। সমর্থন রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ এবং অন্যতম শীর্ষ ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলেরও।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৬/আপডেট ১৪৪৫ ঘণ্টা
এইচএ/

** পল্টন মোড়ে জবি শিক্ষার্থীদের অবরোধ
** জগন্নাথ শিক্ষার্থীদের ধর্মঘট অব্যাহত
** প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছাড়া আলোচনায় বসবে না জবি শিক্ষার্থীরা
** প্রথম দিনের ধর্মঘট ‌সফল দাবি জবি শিক্ষার্থীদের, চলবে বুধবারও
** পুলিশ-জবি শিক্ষার্থী ধস্তাধস্তি, রায়সাহেব বাজার মোড় অবরোধ
** ছাত্র ধর্মঘটে অচল জবি, ভিসি ভবনে তালা
** জগন্নাথে মঙ্গল ও বুধবার ধর্মঘট
** জবিতে অনির্দিষ্টকালের ছাত্র ধর্মঘটের ডাক​
** জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে স্থবির পুরান ঢাকা​
** জবি শিক্ষার্থীদের অবরোধে অচল পুরান ঢাকা, আন্দোলনে ছাত্রলীগও
** জবি শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ​
** জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষক সমিতি ও নীল দলের সমর্থন
** প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা সোমবার
** হলের দাবিতে ধর্মঘটে অচল জবি‍
** রোববার পর্যন্ত আলটিমেটাম জবি শিক্ষার্থীদের

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।