ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বছরের প্রথম দিন বই, মান খারাপ হলে জরিমানা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৬
বছরের প্রথম দিন বই, মান খারাপ হলে জরিমানা

ঢাকা: আগামী বছরের প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক ছাপানো ও উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানোর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
 
তিনি বলেছেন, বরাবরের মতো এবারও আগামী ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবসে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া সম্ভব হবে।


 
বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) পরিদর্শনের সময় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনার পর শিক্ষামন্ত্রী একথা জানান।

১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার কথা পুর্নব্যক্ত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, বইয়ের মান খারাপ হলে কোনো কম্প্রোমাইজ করা হবে না।
 
এনসিটিবি থেকে শিক্ষামন্ত্রীকে জানানো হয়, ২০১৭ সালের প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি ও সমমানের স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪ কোটি ২৬ লাখ ৩৬ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ৩৬ কোটি ২২ লাখ ৩৪ হাজার বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে ৫ কোটি বই ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
 
অবশিষ্ট বই ছাপানো, বাঁধাই ও তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছানোর কাজও যথাসময়ে সম্পন্ন হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী ১ জানুয়ারি সারাদেশে পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবসে প্রথমবারের মতো ৫টি উপ-জাতীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষায় প্রাক-প্রাথমিকের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হবে। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে ব্রেইল পাঠ্যপুস্তক পাবে।
 
এছাড়া শিক্ষকদের শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা প্রদানের জন্য বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নির্দেশিকাও দেওয়া হবে।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান নারায়ন চন্দ্র সাহা এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী পাঠ্যবই ছাপানো এবং উপজেলায় পাঠানোর সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনা করেন।

শিক্ষামন্ত্রী বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং অবশিষ্ট বই বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ছাপানোর কাজ শেষ করতে নিয়মিত ছাপাখানা পরিদর্শনের জন্য এনসিটিবি’র চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন।
 
বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তকের যথাযথ মান নিশ্চিত করার জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
 
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এস মাহমুদ ও অন্যান্য কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।  

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী এনসিটিবি’র কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে জীবন দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা বিষয়ক দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
 
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী ৪০ জন কর্মকর্তা স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জীবন দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন। ইউনিসেফ’র প্রকল্পভুক্ত ৩০টি স্কুলে বর্তমানে এ সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে।
 
সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, বই দেরি হওয়ার কোনো কারণ নেই, ১ জানুয়ারি আমরা বই দেবো।
 
‘মানের দিক থেকে, কোয়ালিটিতে কোনো প্রকার কম্প্রোমাইজ করার কিছু নেই। কোয়ালিটিতে ভেরিয়েশন হলে আবারও ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের সুযোগ আছে, আমরা সেটা করতে পারবো। ’
 
তিনি বলেন, বই না পাওয়ার আগে আমি কেমন করে বুঝবো মান ভালো না মন্দ হলো? বই আমার হাতে আসুক, প্রি-ইন্সপেকশন ও পোস্ট ইন্সপেকশন যখন হবে তখন বুঝতে পারবো। সেখানেও আমাদের ক্লোজ আছে, আমরা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করতে পারবো। আমি প্রথম এ মন্ত্রণালয়ে এসে প্রায় দেড় কোটি টাকা জরিমানা আদায় করেছি, মুদ্রাকর বা প্রকাশক যারা এটা করেছে।
 
গত বছরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, গতবার যখন বই ছাপতে দিলাম, আগের বছরের তুলনায় একশ’ কোটি টাকা কমে দরপত্র দিল। তারপর যখন বই ছাপানোর জন্য আমরা বললাম নো অবজেকশন দেও, এটা বিশ্বব্যাংক দেয়। তখন তারা বললো এ টাকায় বই ছাপিয়ে দিতে পারবে না, মান ঠিক হবে না।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৬
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।