ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২৬ জিলহজ ১৪৪৫

শিক্ষা

প্রকৃতিপ্রেমীদের পথ মিশেছে জাবি’র প্রজাপতি মেলায়

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৬
প্রকৃতিপ্রেমীদের পথ মিশেছে জাবি’র প্রজাপতি মেলায় ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: সকাল থেকেই প্রকৃতিপ্রেমীদের পদচারণায় মুখর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রজাপতি মেলা।

‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’ স্লোগান নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগ সপ্তম বারের মতো এ মেলার আয়োজন করেছে।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম এ মেলার উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, পরিবেশে প্রজাপতির যে অনবদ্য অবদান এবং প্রজাপতি সংরক্ষণে করণীয় সম্পর্কে জানতে এ মেলার ভূমিকা অনস্বীকার্য।

এ সময় তিনি মেলার আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান এবং সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইউসিএন’র (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার) বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আব্দুল জব্বার হাওলাদার প্রমুখ।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তন থেকে র‌্যালি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুপূর্ণ সড়ক ঘুরে একই জায়গায় গিয়ে শেষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন স্কুলের কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

দিনব্যাপী মেলায় থাকছে শিশু-কিশোরদের জন্য প্রজাপতি বিষয়ক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা, হাট দর্শন (জীবন্ত প্রজাপতি প্রদর্শন), অরিগামি প্রজাপতি, প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি উড্ডয়ন, বারোয়ারী বিতর্ক (প্রজাপতি ও জলবায়ু পরিবর্তন), প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি বিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী।

এদিন বিকেল ৪টায় পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হবে।

জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণে সার্বিক অবদানের জন্য এবারের প্রজাপতি মেলায় প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশকে বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। ইয়াং বাটারফ্লাই ইনথুসিয়াস্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন খানকে।

রাজধানী ঢাকার ব্যস্ততম জীবন থেকে একটু নিরিবিলি পরিবেশে প্রজাতির রঙে মন রাঙাতে পরিবার নিয়ে এদিন ছুটে আসেন শত শত মানুষ।

মিরপুর থেকে পরিবার নিয়ে এসেছেন হামজা রহমান। তিনি বলেন, প্রায়ই মন চায় ইট পাথরের এ শহরের বাইরে পরিবার নিয়ে নিরিবিলি পরিবেশে ঘুরে আসি। প্রজাপতি মেলা সে সুযোগ করে দিয়েছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসলিমা খানম মেলা দেখতে এসে বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে প্রজাপতি মেলা দেখতে এসেছি। জীবন্ত প্রজাপতি দেখতে কার না ভালো লাগে! নানা রঙের প্রজাপতি চোখের সামনে উড়ছে, এ এক অনন্য দৃশ্য।

প্রজাপতি মেলার আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রজাপতি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০১০ সাল থেকে প্রাণিবিদ্যা বিভাগ ধারাবাহিকভাবে এ মেলার আয়োজন করে আসছে। এ মেলা একদিকে প্রকৃতিপ্রেমীদের যেমন আনন্দ দিচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও প্রজাপতি বিলুপ্তের হাত থেকে বাঁচাতে জনসচেতনা সৃষ্টিতে সহায়তা করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৬
এএটি/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।