ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রাথমিক শিক্ষাবোর্ড করার সুপারিশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৬
প্রাথমিক শিক্ষাবোর্ড করার সুপারিশ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

প্রাথমিক ও গণ শিক্ষার মান বাড়াতে পৃথক বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করেছে সংসদীয় কমিটি। সুপারিশ থাকছে প্রাথমিকের জন্য নিজস্ব ছাপাখানা করারও।

ঢাকা: প্রাথমিক ও গণ শিক্ষার মান বাড়াতে পৃথক বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করেছে সংসদীয় কমিটি। সুপারিশ থাকছে প্রাথমিকের জন্য নিজস্ব ছাপাখানা করারও।


 
মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে একথা জানান প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য ও সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম ও আলী আজম। এর আগে সকালে সংসদ ভবনে কমিটির ৩১তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
 
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মান বাড়াতে পৃথক একটি কারিকুলামও করার চিন্তা ভাবনা রয়েছে।
 
দশম জাতীয় সংসদে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষামন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাজের বিবরণ তুলে ধরে বলেন, এই কমিটি এর আগে ৩০টি বৈঠক করেছে। আজ ৩১তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। গত ৩০তম বৈঠক পর্যন্ত ১০৫টি সুপারিশ করা হয়। এরমধ্যে মাত্র ২৭টি কার্যকর হয়েছে, ৪টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাকী ৭৪টি সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়নি বলে জানান তিনি।

এসময় মন্ত্রণালয়ের গাফিলতির কথা টেনে বলেন, মন্ত্রণালয় যদি গতিশীল থাকতো তাহলে আরও কাজ এগিয়ে নেওয়া যেতো। এজন্য মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি চান তিনি।

প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার লক্ষে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। এবার প্রায় ২৩  কোটি পাঠ্যপুস্তক ছাপানো হচ্ছে বলে জানান সভাপতি। এ পর্যন্ত (৩ নভেম্বর-২০১৬) ৫০ ভাগ ছাপানো সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা হচ্ছে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শতভাগ ছাপানোর কাজ শেষ হবে এবং ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সব উপজেলায় বই পৌঁছে যাবে।
 
এবছর বই ছাপানোর কাজে মোট ২৭টি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২৫টি দেশীয় প্রতিষ্ঠান, ২টি ভারতের প্রতিষ্ঠান। ভারত মোট বই এর ১২ শতাংশ ছাপার দায়িত্ব পেয়েছে বলেও জানান তিনি। এবারই প্রথম প্রাথমিক পাঠ্যপুস্তকে প্রধানমন্ত্রীর বই বিতরণের রঙিন ছবি সম্বলিত প্রচ্ছদ করা হবে। প্রতিটি বইয়ের পেছনের পাতায় ছবিটি ও প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্লোগান থাকবে।
 
২০১০ সালের শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন হলে এদেশে মোট ৩টি পরীক্ষা থাকবে বলে জানান সভাপতি। পঞ্চম, এসএসসি ও ডিগ্রি পরীক্ষা উঠে দেওয়া হবে। শিক্ষানীতি অনুযায়ী প্রাথমিকের সমাপনী হবে ৮ম শ্রেণির সমাপনীতে। আর এইচএসসি পর একটি সমাপনী এবং অনার্স পরীক্ষা। এই তিন পরীক্ষাই থাকবে।  
 
শিক্ষক নিয়োগে আইনি জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পুলের শিক্ষক নিয়োগে কোনো বাধা দেখছেন না সংসদীয় কমিটির সভাপতি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৬
এসএম/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।