ঢাকা, শনিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত চলবে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
 সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত চলবে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা

মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চলবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।

ঢাকা: মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চলবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
 
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিক ও অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা হচ্ছে।

যতক্ষণ পর্যন্ত ওখান থেকে সিদ্ধান্ত না হয় ততদিন এটা চলবে।
 
প্রাথমিক শিক্ষা এখন পঞ্চম না অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালের শিক্ষানীতিতে পরিস্কার করে বলা আছে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা বলে গণ্য হবে। এটার বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়নটা এখনও হয়নি। আমরা টার্গেট নিয়েছি ২০১৮ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন হয়ে যাবে।

ইতোমধ্যে কিছু কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে, যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বিজনেস লোকেশন এখনও হয়নি। অর্থাৎ মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে, সেখানে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে। আশা করছি শিগগিরই এ বিষয়ে জানাতে পারবো, কখন এটা হচ্ছে।
 
মন্ত্রী বলেন, এখনকার প্রাথমিকের বিজনেসটা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত, আবার আমাদের ৬/৭শ’ স্কুলের মধ্যে ষষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম আমরা খুলেছি। সেটাও আমরা চালাচ্ছি। আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সমর্পণ করলে আমরা সেটা পাবো। এখনও কেউ সমর্পণ করেনি। প্রক্রিয়া চলছে, কারিকুলাম তৈরি হচ্ছে, অ্যাসেসমেন্ট তৈরি হচ্ছে। আমাদের আওতায় আসলে কী পরিমাণ আর্থিক সংশ্লিষ্টতা ও অবকাঠামোর ব্যাপার আছে- এগুলো চুলচেরা আলোচনা হয়ে মন্ত্রিসভায় আসবে।
 
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীতকরণের জন্য গত জুলাইয়ে দুই মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বসে প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের কথা জানানো হয়।
 
এর বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ওনারা (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) পাঠাবেন, ওখান (মন্ত্রিসভা) থেকে অনুমোদন হলে হবে, এখনও আসেনি।
 
‘এখানে এমন নয় যে, শিক্ষানীতি বাস্তবায়িত হলে প্রাথমিকের কোনো অঙ্গ ওনার কাছে (শিক্ষামন্ত্রী) চলে যাবে। প্রাথমিকের কলেবর বৃদ্ধি পাবে। ওনাদের কিছু অংশ ছেড়ে দেবেন, আমরা পাব। উনি আলাপ-আলোচনা শুরু করেছেন। আশা করছি ২০১৮ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে’।
 
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।