ঢাকা, রবিবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ জুন ২০২৪, ২২ জিলহজ ১৪৪৫

শিক্ষা

ব্রিটিশ কাউন্সিলে ‘পড়তে পড়তে বড় হই’ কর্মসূচির উদ্বোধন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
ব্রিটিশ কাউন্সিলে ‘পড়তে পড়তে বড় হই’ কর্মসূচির উদ্বোধন ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ব্রিটিশ কাউন্সিল ও শিশু একাডেমির যৌথ উদ্যোগে সারাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘স্টোরি টাইম: পড়তে পড়তে বড় হই’ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ব্রিটিশ কাউন্সিল ও শিশু একাডেমির যৌথ উদ্যোগে সারাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘স্টোরি টাইম: পড়তে পড়তে বড় হই’ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কার্যালয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি শিশুদের হাতে বিভিন্ন স্টিকার, লগবই ও পোস্টার তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডেপুটি ডিরেক্টর জিম স্কার্থ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন। সাঈদ খোকন বলেন, আমরা যখন নতুন ক্লাসে উঠতাম তখন নতুন বইয়ের গন্ধ নিয়ে বই পড়া শুরু করতাম। এই ছিল বইয়ের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক। কিন্তু বর্তমানে সময়ে বদলে যাচ্ছে, পৃথিবী বদলে যাচ্ছে। বই আসলে বইয়ের জায়গায় নেই। বই এখন মোবাইল ফোন, ট্যাবে ঢুকে গেছে। এটাই বাস্তবতা। ঠিক এমনি সময়ে ‘স্টোরি টাইম: পড়তে পড়তে বড় হই’ একটি সময়পোযোগী, চমৎকার উদ্যোগ।

শিশুদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা বইয়ের সংস্পর্শে বেড়ে উঠে নিজেকে জানার চেষ্টা করো। আর বই পড়বে এবং পুরস্কার নেবে।

এসময় সাঈদ খোকন বইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা, জ্ঞান অর্জন করা, বইকে বোঝা, অনুধাবন করার এই কর্মসূচি নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

জিম স্কার্থ বলেন, আমরা এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শিশুদের আনন্দের সঙ্গে বই পাঠ করতে উৎসাহিত করবো। এই বইগুলোর চরিত্র অধ্যয়নের মাধ্যমে অন্য দেশের সংস্কৃতি, মানুষের প্রতি শিশুদের শ্রদ্ধাবোধ তৈরি হবে। পাশাপাশি বিশ্বজনীন মূল্যবোধ তৈরিতে এই কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশের ৬৪ জেলায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির লাইব্রেরি থেকে সব শিশুরা এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবে। বই নির্বাচনের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা দুই সেট বই থাকবে। এই সংগ্রহশালা থেকে প্রত্যেককে ৬টি করে বই পড়তে হবে। বই পড়ার মাধ্যমে যা শিখেছে তা লিখে রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের একটি লগ বই ও  পোস্টার দেওয়া হবে। প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা ৬টি বই পড়ে শেষ করে তাদের লগ বই জমা দেওয়ার পর সনদ ও পুরস্কার পাবে।

মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের অনুরূপ ৬টি বই শেষ করে একটি মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। প্রতিটি দল ও প্রতিটি জেলা থেকে ৩ জন সেরা পড়ুয়া প্রথম রাউন্ডে নির্বাচিত হবে। জেলা দলের সেরা পড়ুয়া জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করবে। প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ডের নিবন্ধনের সময় চলতি নভেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
এসকেবি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।