ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সন্ত্রাবাদ মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৬
সন্ত্রাবাদ মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের গভীরে গিয়ে এর সূত্র নির্ণয়ের পাশাপাশি সন্ত্রাবাদ মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের গভীরে গিয়ে এর সূত্র নির্ণয়ের পাশাপাশি সন্ত্রাবাদ মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘দেশে জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ: এ সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব  কথা বলেন।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতির উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. গিয়াসউদ্দিন মোল্যার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এতে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি অধ্যাপক এমিরিটাস ড. আবদুল মোমেন, তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. খুরশিদা বেগম সাঈদ ও ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের প্রতিনিধি রাজেশ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতির দফতর সম্পাদক মনিরুল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ড. সৈয়দ আশরাফুর রহমান।
 
ড. গওহর রিজভী বলেন, দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনা অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ। কিন্তু এর নেতিবাচক প্রভাব বহির্বিশ্বেও পড়ছে। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক, উদার গণতান্ত্রিক দেশ। সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের গভীরে গিয়ে এর সূত্র নির্ণয় করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অচিরেই দেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দক্ষিণ এশিয়াকে শান্তির অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তার সেই প্রচেষ্টাকে স্তব্ধ করতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।

বাংলাদেশের কাছ থেকে সম্প্রতি পাকিস্তানের ক্ষতিপূরণ চাওয়ার বিষয় উল্লেখ করে উপাচার্য প্রশ্ন রাখেন, ১৯৭১ সালের ৩০ লাখ শহীদের ক্ষতিপূরণ কে দিবে? ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে আমাদের বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের ব্যাংক-বিমা লুট করে। রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থাসহ সরকারি দফতরের টাকাও লুট করে তারা।

এসব টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখার যৌক্তিকতা নেই।

উপাচার্য আরও বলেন, বাংলাদেশে গণহত্যা নিয়ে মিথ্যাচার করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ইতোমধ্যেই পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। পাকিস্তানের নিঃশর্ত ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত এ সম্পর্ক ছিন্ন থাকবে।

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ধর্মকে কেউ যেন অধর্মের কাজে ব্যবহার করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

উদ্বোধনী পর্বের পর জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে ৩টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। পরে প্রবন্ধের ওপর আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৬
এসকেবি/জিপি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।