ঢাকা: দুপুরে ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণ। বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে নেচে গেয়ে ভালো ফলাফলের আনন্দ উদযাপন করতে থাকে স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
‘ভি’ চিহ্ন দেখিয়ে ও ঢোলের তালে ‘ভিএনএস, ভিএনএস’ বলে চিৎকার করে আনন্দ প্রকাশ করে তারা। শিক্ষার্থীদের এ আনন্দে যোগ দেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে ২০১৬ সালের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় পাসের হার শতভাগ।
মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো এক হাজার ৭৯৪জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষার্থী। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায়ও (পিএসসি) ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সব শাখায় শতভাগ পাস। এদিকে, গতকয়েক বছরের তুলনায় এবার জেএসসি ও পিএসসিতে সবচেয়ে ভালো ফলাফল হয়েছে ভিকারুননিসা নূন বলে জানান অধ্যক্ষ মোছা. সুফিয়া খাতুন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) স্কুল প্রাঙ্গণে পরীক্ষার ফলাফল সিট টাঙানোর পরপরেই সেলফি তোলা, গানের তালে তালে নাচ ও বাদ্য বাজিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা। নিজেদের সাফল্য ভাগাভাগি করে নেয় বন্ধু, শিক্ষক ও অভিভাবকদের। জিপিএ-৫ পাওয়ায় লাফিয়ে আকাশ ছুঁতে চাচ্ছে শ্রাবণী। মাঠ জুড়ে তার লাফালাফি। এই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের মধ্যেই শ্রাবণী বাংলানিউজকে বলে, আমি অনেক খুশি। অনেক ভালো লাগছে, বলে বোঝাতে পারবো না। বাবা-মার মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি। আমি ভবিষ্যতে বিশ্বের প্রখ্যাত প্রকৌশলী হতে চাই।
শ্রাবণী পাশে দাঁড়িয়ে জিপিএ-৫ পাওয়া সুদিপ্তা বিশ্বাস নামে এক শিক্ষার্থী বলে, পিএসসিতে পেয়েছিলাম, এবারও পেলাম, খুব ভালো লাগছে। এখন টেনশন গোল্ডেন প্লাস নিয়ে।
সুদিপ্তার বাবা সুকেশ চন্দ্র হালদার বলেন, খুবই ভালো লাগছে। সন্তানদের সাফল্যে বাবা-মায়ের বড় অর্জন। এ সাফল্য যেন ধরে রাখতে পারে এখন এটাই প্রত্যাশা। ভবিষ্যতে ও চাইবে তাই নিয়ে পড়বে। ফলাফল নিয়ে সন্তোষজনক জানিয়ে অধ্যক্ষ সুফিয়া খাতুন জানান, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলাফল হচ্ছে। ক্লাসে শিক্ষকদের যত্ন, পড়াশোনার চাপ না দিয়ে শিক্ষা দান করার কারণে ভালো ফলাফল হয়েছে। শিক্ষার্থীরা মানসিক ও শারীরিক চাপমুক্ত থাকলে পড়াশোনা ভালো হয়। এছাড়া শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকের ত্রিমুখী প্রচেষ্টায় ভালো ফলাফল হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬
এমসি/এএটি/পিসি