মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) মুক্তমঞ্চে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা মানুষকে সৃষ্টিশীল করে, তাদের মাঝে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করে।
গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিপথগামী কিছু তরুণের বিকৃত মানসিকতা অসুস্থ সমাজের জন্ম দেয়। সমাজের অস্থিতিশীলতা দূর করতে সুকুমার বৃত্তির অনুশীলনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, মস্তিস্ককে সতেজ রাখতে সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা জরুরি। আর প্রাণবন্ত সৃষ্টিশীল মেধার অধিকারী হতে গান, কবিতার মাধ্যমে শিল্পী মনের বিকাশ হতে দিতে হবে।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষার সঙ্গে জ্ঞানের সমন্বয় থাকতে হবে। তা না হলে শুধুই প্রতিযোগিতার পরীক্ষায় পাস করা হবে, প্রকৃত জ্ঞান অর্জন হবে না। প্রতিটি মানুষই মেধাবী হয়ে জন্ম নেয়। তাই মানুষের মাঝে যে অপরিমেয় শক্তি আছে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সেটিকে জাগিয়ে তুলতে হবে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমান।
বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. অনির্বাণ মোস্তফা।
স্বাগত বক্তব্য দেন সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের ডিন ড. মো. আবদুল জব্বার। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইংরেজি ডিসিপ্লিনের ডিন ড. আহসানুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ডিন ও পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৬
এমআরএম/ওএইচ/এএসআর