পাশাপাশি টানানো মূল্য তালিকা সাতদিনের মধ্যে কার্যকর করতে হুমকিও দিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর বারোটা থেকে পূর্ব ঘোষিত ‘ক্যান্টিনের খাবারের মান বৃদ্ধি, দাম কমানো এবং ক্যান্টিনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজের পরিচালনায় নেওয়াসহ’ বেশ কিছু দাবি নিয়ে ক্যান্টিনে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়ন।
এ অবস্থান কর্মসূচিতে জবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের দফতর সম্পাদক রুহুল আমিন তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের ক্যান্টিনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তত্বাবধানে নিতে হবে। আমাদের বিশ হাজার শিক্ষার্থীর সকালের নাস্তা এবং দুপুরের খাবারের নিশ্চয়তা বিশ্ববিদ্যালয়কেই দিতে হবে। আমাদের ছাত্র ভাইয়েরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মেসে এবং নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মাওয়া , গাজীপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে। এখানে তারা যদি এতোটুকু সুবিধা না পান তবে আমাদের ভবিষ্যৎ বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে।
তিনি বলেন, অনতি বিলম্বে আমাদের দাবি মেনে নিয়ে ক্যান্টিনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষকের নিয়ন্ত্রণে দিয়ে আদর্শ ক্যান্টিনে পরিণত করতে হবে।
২৮ জানুয়ারি (শনিবার) বাংলানিউজে ‘ভর্তুকি নেই, শিক্ষার্থীর টাকায় চলছে জবি ক্যান্টিন' শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার সূত্র ধরে তিনি বলেন, আমরা আমাদের ক্যান্টিনকে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চাই। এই ক্যান্টিন কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে পারবে না।
এ সময় তিনি তাদের দেওয়া একটি খাবারের মূল্য তালিকা সাংবাদিকদের দেখিয়ে বলেন, আমাদের দাবি এই তালিকায় দেওয়া দাম অনুযায়ী খাবারের দাম নেওয়া হোক। তালিকায় মধ্যে রয়েছে পরোটা ৩ টাকা, ডাল-ভাজি ৬ টাকা, ভাত-ডাল- সবজি ২০ টাকা, ভাত মাছ ৩০ টাকা, ভাত-মাংস ৪০ টাকা, ভাত-ডিম ২৫ এবং খিচুরি ১৫ টাকা। পরে তা তিনি ক্যান্টিনে টানিয়ে দেন।
প্রশাসনকে আগামী সাতদিনের মধ্যে মূল্য তালিকা কার্যকরের দাবি জানান। যদি তা না করা হয় তবে প্রশাসনিক ভবন ঘেরারও করবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি।
তিনি দাবি করে বলেন, আমাদের দেওয়ার তালিকা অনুযায়ী মূল্য রাখা হলে ক্যান্টিন ও শিক্ষার্থী উভয়ে উপকৃত হবে। এ সময়ে ক্যান্টিনে খাবার খেতে আসা সবাই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯ ২০১৭
ডিআর/জিপি/বিএস