ঢাকা, রবিবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ সফর ১৪৪৬

শিক্ষা

‘দুর্নীতি ও মাদক তরুণ সমাজকে ধ্বংস করছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭
‘দুর্নীতি ও মাদক তরুণ সমাজকে ধ্বংস করছে’ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকবিরোধী সেমিনার- ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দুর্নীতি ও মাদক তরুণ সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকবিরোধী সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুর্নীতি ও মাদকাসক্তির কারণে তরুণ সমাজ আজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

আমাদের উচিত, তরুণ সমাজকে বাঁচানো। ভবিষ্যত প্রজন্মকে আলোর পথে ধাবিত করানো। কিন্তু একটি শ্রেণী বা সমাজ তাদেরকে অন্ধকার পথের দিকে ধাবিত করছে। যেখান থেকে তাদের ফিরে আসা অনেক কষ্টসাধ্য’।

তিনি আরো বলেন, তরুণ সমাজকে পড়ালেখা করতে হবে। এজন্য শিক্ষকদের সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। কেননা, শিক্ষার্থী কেমন ও কেন পড়ালেখা করছে না সেটা জানেন শিক্ষক। তাই শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীদের প্রতি নজর না রাখেন, তাহলে তারা অন্য জগতে ধাবিত হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে সন্তানের প্রতি অভিভাবকদের কোনো দায়িত্ব নেই, সেটা কিন্তু একদমই নয়।

দুর্নীতির কারণে ২ শতাংশ জিডিপি চলে যাচ্ছে মন্তব্য করে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দেশে দুর্নীতি হলে আমাদের উন্নয়নের ২ শতাংশ জিডিপি চলে যায়। যা আমাদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধান বাঁধা হয়ে দাঁড়িযেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা দেশকে স্বাধীন করেছিলাম, একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য। কিন্তু সেখানে দুর্নীতি হলে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না’।

‘তরুণ সমাজকে আজ শপথ করতে হবে, দুর্নীতি ও মাদকের সঙ্গে কোনো ধরনের আপোস নয়। বরং এ দু’টির বিরুদ্ধে তরুণ সমাজকে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। তবেই একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। না হলে তরুণ সমাজ ধ্বংসের পথে ধাবিত হলে কোনোভাবেই সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব নয়’।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। কেননা, আমাদের চারপাশে মাদকের পসরা নিয়ে বসে আছে এক শ্রেণীর মানুষ। তাদের টার্গেট আজকের তরুণ সমাজ। তরুণ সমাজকে বিপথে ঠেলে দিতে পারলেই তাদের স্বার্থকতা। আমাদের দেশের কারাগারে থাকা ৩০ শতাংশ আসামি মাদক মামলার। এ থেকে স্পষ্ট যে, মাদকের করাল থাবা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এখনই আমাদের এ মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার উপযুক্ত সময়’।

মানসের চেয়ারম্যান ডা. অরুপ রতন চৌধুরী বলেন, একটি সিগারেট থেকেই মাদকাসক্তির জন্ম নেয়। বন্ধু কিংবা সহপাঠীর হাত ধরেই প্রথমে তরুণ সমাজ মাদকের থাবায় আকৃষ্ট হয়ে থাকে। সিগারেটে ৭ হাজার কেমিক্যাল ছাড়াও ধোঁয়ায় থাকে আর্সেনিক ও বিষাক্ত অ্যারোসল। এর সঙ্গে নিকোটিন যুক্ত হয়ে নেশার সৃষ্টি করে থাকে। এরপর আস্তে আস্তে হেরোইন থেকে ইয়াবা পর্যন্ত আসক্ত হয়ে পড়ছে তরুণ সমাজ।   যা তাদেরকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, ডিরেক্টর অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স এম ইমদাদুল হক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯,২০১৭
এসজে/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।