শীতের খোলসে ঢুকে থাকা কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, নাগলিঙ্গম যেন আজ গা ঝাড়া দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছে, জানান দিচ্ছে নিজেকে। মৃদু বাতাসে ভেসে আসা ফুলের গন্ধে বসন্ত জানান দিচ্ছে, আমিই সব ঋতুর রাজা আমিই সবার প্রিয় বসন্ত।
আর এমন দিনে তরুণ-তরুণীরা ঘরে বসে থাকবে তা কি করে হয়? এদিনে মেয়েরা খোঁপায় বাহারি রঙের ফুল, গায়ে লাল ও হলুদমাখা বাসন্তী রঙের শাড়ি আর ছেলেরা বাসন্তী রঙের পাঞ্জাবিতে নিজেদেরকে প্রকৃতির সাজে সাজিয়ে বসন্তের উচ্ছলতা ও উন্মাদনায় গা ভাসায়। পুরাণ ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ভিক্টোরিয়া পার্ক, আহসান মঞ্জিল এসব এলাকায় এই উৎসবের জোয়ার যেন একটু বেশিই।
জানা যায়, মোগল সম্রাট আকবর প্রথম বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন ১৫৮৫ সালে। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বসন্ত উৎসব। পুরাণ অনুসারে, বাংলা বর্ষের শেষ ঋতু বসন্তের প্রথম দিনকে বাঙালি পালন করে ‘পহেলা ফাল্গুন-বসন্ত উৎসব’ হিসেবে। বাঙালির নিজস্ব সার্বজনীন প্রাণের উৎসবে এ উৎসব এখন গোটা বাঙালির কাছে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে।
এদিকে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ‘বসন্ত বরণ-১৪২৩’ উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় নৃত্য, গান ও আবৃত্তি করা হয়। বসন্ত উৎসবকে ঘিরে ক্যাম্পাসে তরুণ-তরুণীর উচ্ছলতা ছিল চোখে লাগার মতো।
এ সময় জবি উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, যে জাতি যত বেশি উৎসব মুখর হবে, সে জাতির তত বেশি সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ঘটবে। এই ধরনের উৎসব উদযাপনে কোনো বাধা-বিপত্তি না থাকলে দেশ ও জাতির মানসিক ও বাস্তবিক উন্নয়ন হবে।
এছাড়া আগামীতে বসন্ত উৎসবকে আরো বড় ও ব্যাপক পরিসরে পালন করার কথাও জানান জবি উপাচার্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭
ডিআর/এএটি/এমজেএফ