এতে সাব-স্টেশনটির পাশে গড়ে ওঠা কলোনির বাসিন্দা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও খোদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে জনসাধারণ যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি ব্যবহার করেন।
ময়লার দুর্গন্ধে অনেকে খাবার খেতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন একটি খাবার দোকানের ম্যানেজার রহম আলী।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় ৫০ গজ দূরে আগারগাঁও মোড় ও আবহাওয়া অধিদফতরের দু’টি বড় ময়লা রাখার স্টেশন রয়েছে।
রাস্তার পাশে সাব-স্টেশন নির্মাণের কারণ জানতে চাইলে পরিকল্পনা বিভাগের প্রটোকল অধিশাখার গবেষক কর্মকর্তা সোহেল আহাম্মদ সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় চত্বর পরিষ্কার রাখতে ভেতরের ময়লা কোথাও না কোথাও ফেলতে হবে। তাই আমরা পিডব্লিউডিকে ভেতরের ময়লা রাখতে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম। শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত উপ-বিভাগ-৩ গণপূর্ত এর কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্টেশনটি তৈরি করা হয়েছে। স্টেশনটি শুধু অফিসের অপ্রয়োজনীয় কাগজ ও শুকনো ময়লা ফেলার জন্য অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে। সিটি করপোরেশন আমাদের ময়লা ফেলার জায়গা করে দিলে আমরা স্টেশনটি সরিয়ে নেবো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় এক শতাংশ জায়গার উপরে ছয় ফুট উচ্চতার চার দেয়ালের ভেতর ও বাইরে পচনশীল দ্রব্যাদিতে স্তূপ হয়ে আছে। যা আশপাশে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করেছে।
শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রতি মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসেন। এখানে এমন ময়লার ভাগাড় খুবই দৃষ্টিকটূ দেখায়।
তিনি সাব-স্টেশনটি সরিয়ে ফেলতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
আরআইএস/এএ