ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বিরল সততার দৃষ্টান্ত রাবি শিক্ষার্থী সুমির

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৭
বিরল সততার দৃষ্টান্ত রাবি শিক্ষার্থী সুমির বিরল সততার দৃষ্টান্ত রাবি শিক্ষার্থী সুমির-ছবি: বাংলানিউজ

রাবি: বাজারে গিয়েছিলেন কেনাকাটা করতে। কেনাকাটা শেষে রুমে এসে কেনা জিনিসপত্র বের করার সময় দেখলেন ব্যাগে এক লাখ টাকা। একসঙ্গে এতো টাকা কোনো দিন দেখেননি সুমি খাতুন। সৌভাগ্য ভেবে খুশি হয়ে টাকাগুলো নিতে পারতেন। কিন্তু তা করলেন না। শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় মালিকের হাতে তুলে দিলেন সব টাকা।  

শপিং ব্যাগে এক লাখ টাকা পাওয়ার পর তা ফেরত দিয়ে সততার মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমি।

সুমি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।

তিনি রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা শীষ মোহাম্মদের মেয়ে।

সুমি বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকালে বাজার থেকে কেনাকাটা করে রুমে এসে দেখেন তার শপিং ব্যাগে এক লাখ টাকা। পরে ওই দোকানের শপিং ব্যাগে থাকা ফোন নম্বরে কল করে জানতে চান তাদের কিছু হারিয়েছে কিনা? তারা জানায় তাদের কিছু হারায়নি।

পরে বিষয়টি তিনি বিভাগের কয়েকজন শিক্ষককে জানালে তারা পুলিশ অথবা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে জানাতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পরেই ওই দোকানদার ফোন করে জানান তাদের এক লাখ টাকা হারিয়েছে। প্রমাণ দিতে পারায় দোকানদারকে বিভাগে আসতে বলা হয়।

শিক্ষকদের উপস্থিতিতে যাচাই-বাছাই শেষে দুপুরে টাকা তার মালিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, কারো টাকার প্রতি আমার লোভ নেই। টাকাটা তার মালিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া আমার দায়িত্ব ছিলো। আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। টাকা তার মালিককে দিতে পেরে আমি মনে প্রশান্তি পাচ্ছি। মানুষকে হাসি-খুশি রাখতে পারলে আমার কাছে ভালো লাগে।

টাকার মালিক আশরাফুল আলম সেতু বাংলানিউজকে বলেন, আসলে পৃথিবীতে এখনো অনেক ভালো মানুষ আছে। ওই ম্যাডাম নিজে ফোন না করলে আমি হয়তো আর আমার টাকা পেতাম না। তিনি চাইলে টাকা নিয়ে নিতে পারতেন। আমি ম্যাডামকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি তাও নেননি। মানুষের কেমন হওয়া উচিত আমি ওনার কাছে শিখেছি। আমি ওনার কাছে কৃতজ্ঞ।

শিক্ষার্থী সুমির এমন সততায় তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী। তার সততা সমাজে দৃষ্টন্ত হয়ে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শিক্ষকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৭
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।