মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শিক্ষার্থী বাস কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল।
দেন।
বাস থামিয়ে রাখায় বাসে থাকা শহীদ সালাম-বরকত হলের ছাত্রলীগ কর্মী কার্তিক ঘোষ নিরবের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ ঘটনা নিরব ছাত্রলীগ কর্মীদের ফোন করেন। তার ফোন পেয়ে আল বেরুনী সম্প্রসারিত হলের ছাত্রলীগ কর্মী আসাদুজ্জান প্রধানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরির সামনে ছয়জন ছাত্রলীগ কর্মী শুভ্রকে বেধড়ক মারধর করেন।
পরে তাকে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে পাঠায়।
এ বিষয়ে শুভ্র কুমার বলেন, বাসে প্রচন্ড ভিড় থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ
চত্বরে ও লাইব্রেরির সামনে থাকা শিক্ষার্থীরা বাসে উঠতে পারছিলেন না। তাই
অতিরিক্ত একটি বাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন অফিসে ফোন করলে বাসে থাকা এক শিক্ষার্থী গালিগালাজ করেন। আমার সঙ্গে বাজে আচরণ করেন। এর কিছুক্ষণ পর ছয়জন শিক্ষার্থী আমাকে মারধর করেন।
কার্তিক ঘোষ নিরব বলেন, এমনিতে প্রচণ্ড গরম ছিল তার উপর ভিড়। এমন অবস্থায় সে বাস আটকিয়ে রাখে। পরে আমরা তার কাছে কারণ জানতে চাই। সে আমাদেরসহ বাসে থাকা অনেকের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন। কথাকাটির এক পর্যায়ে সে আমার জামার কলার ধরে জামা ছিঁড়ে ফেলে। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আসাদুজ্জান প্রধানকে ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চল বলেন, বিষয়টির মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুল মোর্শেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে আহত ছাত্রকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হল প্রাধ্যক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের অনুমতিক্রমে শুভ্রকে ঢাকায় তার বাসায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি যদি লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৭
এএটি/এমজেএফ