শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন উদ্বোধনকালে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
‘বাংলা ভাষায় স্থানীয় ইতিহাস চর্চা’ শীর্ষক ৪৭তম এ বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ।
অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, বর্তমান প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা খুব বেশি ইতিহাস জানার সুযোগ পায় না। সবাই কর্মমুখী শিক্ষার পেছনে ছুটছে। যে শিক্ষা তাদের তড়িৎ চাকরি দেবে। তাদের নিজের দেশের ইতিহাস সম্পর্কে প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে পারে না। এটা লজ্জার।
তিনি বলেন, আমি তার জন্য শিক্ষার্থীদের কোনভাবে দায়ী করব না। এর জন্য দায়ী হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা যেখানে দীর্ঘদিন ধরে গলদ পুঞ্জীভূত হয়েছে সেটির কারণে তারা ইতিহাস বিমুখ হয়েছে।
নিজের দেশের ইতিহাস না জানা মানে শিকড় বিচ্ছিন্ন মানুষে পরিণত হওয়া বলে তিনি এসময় উল্লেখ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন শিক্ষার্থীদের ইতিহাস সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মঞ্জুরি কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’টি বিষয় বাধ্যতামূলক পড়তে হবে। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস ও বাংলা ভাষা। এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষার ইতিহাস সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ইতিহাসের কোনো সীমানা নেই। ইতিহাস সব বিষয়কে ধারণ করতে সক্ষম। গণমানুষকে ইতিহাস সচেতন করতে হলে মাতৃভাষায় ইতিহাস চর্চা করতে হবে। বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনা ধারণ করতে হলে ইতিহাস জানতে হবে।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ঢাবি উপ-উপাচার্য বলেন, মাতৃভাষায় জ্ঞানচর্চায় কোনো দেশ পিছিয়ে যায় না। জাপান, রাশিয়া তার প্রমাণ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর নির্ধারিত অধিবেশনে দেশ ও বিদেশের খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ, বিশেষজ্ঞ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষকরা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
এসকেবি/এএ