রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর রেডিসন হোটেলে ‘গেটকো এনআইআইটি সেন্টার অব এক্সেলেন্স’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকরা প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত তা তিন বছর আগেই ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল।
তিনি বলেন, এরইমধ্যে প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকা শিক্ষকদের গ্রেফতার করা হয়েছে, আপনারা জানেন। তারা শিকার করেছেন, ভুয়া প্রশ্নপত্র ফেসবুকে দিয়ে বলছে প্রশ্নফাঁস হয়ে গেছে। এছাড়া এ প্রশ্নপত্র তারা শিক্ষার্থীদের কাছে ৫ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। এসব শিক্ষকরা সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ফেসবুকে প্রশ্ন দেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রশ্নফাঁস বন্ধ করতে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে এবং শিক্ষকদের নৈতিক মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনতে হবে। এ বিষয়ে সবার এগিয়ে আসতে ও সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ও টেকনোলোজির মাধ্যমে পড়ার ব্যবস্থা করেছি। এসএমএস’র মাধ্যমে ভর্তির ব্যবস্থা করেছি। ২০০৯ সাল থেকে ৬০ দিনের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করছি। এছাড়া আমরা ৪০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুমের ব্যবস্থা করেছি।
কারিগরি শিক্ষার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক সংকট রয়েছে, আমরা তা পূরণের জন্য কাজ করছি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের সম্মানিত ডেপুটি হাইকমিশনার ড. আর্দশ সোয়াইকা, গেটকো গ্রুপের চেয়ারম্যান কে এম খালেদসহ আরো অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
আরএটি/জেডএস