ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

গাজীপুর পাবলিক লাইব্রেরিতে ৫০ আসনে ২০০ পাঠক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১২ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৭
গাজীপুর পাবলিক লাইব্রেরিতে ৫০ আসনে ২০০ পাঠক গাজীপুর পাবলিক লাইব্রেরি। ছবি: রাজীব সরকার

গাজীপুর: গাজীপুর জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে পাঠক থাকলেও পড়ার পরিবেশ নেই, আসন সংখ্যাও সীমিত। প্রতিদিন বিভিন্ন বই ও পত্রিকা পড়তে গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ পাঠক গ্রন্থাগারে নিয়মিত আসেন। কিন্তু এর আসন সংখ্যা মাত্র ৫০টি। গ্রন্থাগারটিতে বই পড়ার পরিবেশও তেমন একটা ভাল না।

পাঠক ও গ্রন্থাগার সূত্রে জানা যায়, ৫০ জনের বেশী পাঠক এক সাথে বসে বই অথবা পত্রিকা পড়তে পারে না এখানে। কিন্তু প্রতিদিন গ্রন্থাগারে স্কুল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শিশু-কিশোর ও বৃদ্ধাসহ বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ আসে।

স্কুল-কলেজ ছুটি ও দুপুরে টিফিনের সময় পাঠকের ভিড় জমে যায় গাজীপুরের পাবলিক লাইব্রেরিতে। এসময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বই ও পত্রিকা পড়তে হয়। গ্রন্থাগারের পাঠক গল্প, উপন্যাস, মুক্তিযুদ্ধের গল্প ও কবিতার বই বেশী পড়ে থাকে।

চারজনে চলে গাজীপুর জেলা সরকারি এ গ্রন্থাগার। তাদের মধ্যে লাইব্রেরিয়ান রুবিনা মিরাজ, লাইব্রেরি সহকারী মো. ফুল মিয়া, অফিস সহায়ক মো. আব্দুল মতিন শেখ ও নিরাপত্তা প্রহরী মো. রুস্তম আলী মোল্লা। সময় মতো বেতনও পেয়ে থাকেন তারা। লাইব্রেরিতে ইন্টারনেট সংযোগসহ ৩টি কম্পিউটার রয়েছে। এগুলোর ব্যবহার হয় শুরু অফিসের কাজের জন্য। এ গ্রন্থাগারে সকল প্রকার বাংলা ও ইংরেজি বই পাওয়া যায়। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে এ গ্রন্থাগার। সাপ্তাহিক ছুটি বৃহঃ ও শুক্রবার। এছাড়া সরকারি ছুটির দিন বন্ধ থাকে এ গ্রন্থাগারটি। গাজীপুর পাবলিক লাইব্রেরি

গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী তানজিমা আহমেদ ও অনন্যা ইসলাম বলেন, সুযোগ পেলে গ্রন্থাগারে এসে বই পড়ি। গল্প ও উপন্যাস বেশী পড়া হয়। পরিবেশ মোটামুটি, তবে আরো ভাল থাকা প্রয়োজন।

আসাদুল ইসলাম ও খান আলাউদ্দিন বলেন, নিয়মিত আসা হয় না, অবসর পেলে পত্রিকা পড়তে আসি। ওই সুযোগে গল্প ও উপন্যাসও পড়ে থাকি।

লাইব্রেরিয়ান রুবিনা মিরাজ বলেন, গ্রন্থাগারে জায়গা সংকট। তাই আসন সংখ্যাও সীমিত। অনেক সময় পাঠকের চাপ বেড়ে যায়। তাদের বসার জায়গা দিতে পারি না। অনেকেই দাঁড়িয়ে থাকেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৭
আরএস/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।