ঢাকা, সোমবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩১, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ সফর ১৪৪৬

শিক্ষা

সিরাজগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরিতে প্রবীণ পাঠকের মিলনমেলা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৮ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৭
সিরাজগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরিতে প্রবীণ পাঠকের মিলনমেলা সিরাজগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরিতে বয়সী পাঠক। ছবি: স্বপন চন্দ্র দাস

সিরাজগঞ্জ: শহরের প্রাচীন গ্রন্থাগার ‘সিরাজগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরী’। প্রায় ১শ’ ৩৫ বছর বয়সী এ পাঠাগারে রয়েছে দেশি-বিদেশি খ্যাতনামা সাহিত্যিক ও লেখকদের প্রখ্যাত সব গ্রন্থ। আর এ কারণে প্রবীণ পাঠকদের মিলনস্থল হয়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরি।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা যায়, পাঠাগারটির বয়সী ভবনের দেয়াল ও ছাদের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় অর্ধশত বছর বয়সী আলমারিগুলোর কোনটির কাঁচ ভাঙ্গা, আবার কোনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

অতি পুরনো বইগুলো একাধিকবার বাঁধাই করার চিহ্ন দৃশ্যমান। দু’কক্ষ বিশিষ্ট পাঠাগারটির একটি কক্ষে চলছে আবৃত্তির ক্লাস। দ্বিতীয় তলার কক্ষটি একটি স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনকে ভাড়া দেয়া হয়েছে।

পাঠকরা জানান, সেক্সপিয়র, লিও টলস্টয়, দস্তয়ভস্কি থেকে শুরু করে বাংলাদেশের রবীন্দ্র-নজরুল-মীর মোশারফ হোসেনের মতো প্রখ্যাত লেখকদের গ্রন্থ রয়েছে পাঠাগারটিতে। তবে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অনেকেই লাইব্রেরিটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। সিরাজগঞ্জপাবলিক লাইব্রেরি

কথা হয় সত্তুরোর্ধ লাইব্রেরিয়ান আব্দুল হালিমের সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি জানান, ১৮৮২ সালে স্থানীয় কিছু বইপ্রেমী সুধীমহলের অনুদানে এ লাইব্রেরিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে লাইব্রেরির হলরুম ভাড়ার অর্থ দিয়ে লাইব্রেরিটি পরিচালিত হয়ে আসছিল। ১৯৮৪ সালে সিরাজগঞ্জ জেলা ঘোষণার পর থেকে জেলা প্রশাসক এটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। প্রতি বছরই বই কেনা ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনার জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হতো। কিন্তু প্রায় ৩ বছর ধরে সেই অনুদান বন্ধ রয়েছে।

তিনি জানান, লাইব্রেরির বইসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ হাজার। প্রতিদিন গড়ে ৪০/৫০ জন পাঠক আসেন। এদের অধিকাংশই প্রবীণ।

সিরাজগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার হায়দার খোকন বলেন, গ্রন্থাগারটি বেসরকারি হলেও জেলা প্রশাসনের অনুদান ও নিজস্ব আয়েই পরিচালিত হয়ে আসছে। লাইব্রেরিয়ান ছাড়াও তিনজন কর্মচারীর বেতনসহ অন্যান্য ব্যয় লাইব্রেরির আয় থেকেই বহন করা হয়। তবে ভবনটি পুরাতন হওয়ায় পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ডিও লেটারও দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, মে ২, ২০৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।