মঙ্গলবার (০২ মে) রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঝটিকা অভিযান চালিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার খাবারের মানোন্নয়ন ও মূল্য তালিকা পুনর্নির্ধারণ যৌথ কমিটির প্রধান প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, খাবারে মূল্য তালিকা প্রণয়ন ও খাবারে মানোন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, মাওলানা ভাসানী হল ও আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলের শিক্ষকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে প্রত্যেক হল থেকে তিনজন করে মোট ৯জন সদস্য রয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ কমিটির মিটিং শেষে এই তিন হলের অধীনে বরাদ্দকৃত দোকানগুলোতে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ অভিযানের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বটতলার খাবারের দোকানগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। অনেক দোকানগুলোতে বাসি-পঁচা খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। তাছাড়া বাসি-পঁচা মাছ ও মাংস দিয়ে নানা পদের ভর্তা তৈরি করা হচ্ছে।
এগুলো আবার ফ্রিজে রেখে কয়েকদিন খাওয়ানো হচ্ছে। এছাড়া নোংরা পরিবেশে খাবার রান্না ও পরিবেশন করা হচ্ছে। যা স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
তাই মাওলানা ভাসানী হলের অধীনে দোকানগুলোর মধ্যে সালাম ও হারুন আর রশিদের দোকানের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে, আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলের অধীনে মনোয়ারার দোকান বরাদ্দ বাতিল এবং শাহাজাহান ও মালেকের দোকানে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বুধবার মিটিং করে মূল্য তালিকা নিধারণ ও নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। আর এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২২ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৭
বিএস