এর অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, জাতীয় শিশু দিবস, স্বাধীনতা, বাংলা নববর্ষ, জাতীয় শোক দিবস, বিজয় দিবস, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে লাইব্রেরিতে রচনা, সুন্দর হাতের লেখা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতাসহ নিয়মিত সাহিত্য আড্ডার আসর বসছে।
সেই সঙ্গে স্থানীয় বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে লাইব্রেরি পরিণত হচ্ছে নানা শ্রেণিপেশার জনগণের মিলন মেলায়।
পাঠক বাড়াতে শুধু এসব কর্মসূচি আয়োজনেই সীমাবদ্ধ নেই লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম। বাংলানিউজকে এমনটাই জানালেন সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির আজীবন সদস্য ও নিয়মিত পাঠক কবি গাজী শাহজাহান সিরাজ।
তিনি বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমান কার্যক্রমের জন্য লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ প্রশংসার দাবিদার। সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি এখন পাঠক, কবি ও সাহিত্যিকদের মিলনস্থল। এছাড়া সম্প্রতি লাইব্রেরি ভবন সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে আসন সংখ্যা। পাঠকদের জন্য রয়েছে ফ্রি ওয়াই-ফাই ও কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ। তৈরি করা হয়েছে সাইকেল শেড। অনার্স ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য সম্প্রতি রেফারেন্স বুক সংগ্রহ শুরু হয়েছে।
আর এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের প্রচেষ্টায়।
সাহিত্য ও শিক্ষানুরাগী জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন লাইব্রেরিকে পাঠকের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত করতে ও নতুন পাঠক সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রাসেল। তিনি বলেন, পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সভাপতি। তার সাহায্য ও সহযোগিতা না পেলে অলাভজনক ও অনুদান নির্ভর এ প্রতিষ্ঠানটিকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব হতো না।
অন্যান্য জেলার তুলনায় সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি যেকোনো বিচারে এগিয়ে থাকবে বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৭
আরবি/এসআই