গত চার বছরের ফলাফলের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৪ সালে পাসের হার ছিলো ৯০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ২০১৫ সালে যা ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৮৪ দশমিক ৩৭ শতাংশে।
২০১৫ সালের চেয়ে ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ কমে ২০১৬ সালে পাসের হার দাঁড়ায় ৭৯ দশমিক ৪১ শতাংশে। যা আরও ২ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে এ বছর ২০১৭ সালে দাঁড়িয়েছে ৭৭ দশমিক ২৪ শতাংশে।
পাশাপাশি কমছে জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও। যেখানে ২০১৪ সালে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ছিলো ৪ হাজার ৭৬২, পরের বছর তা ১ হাজার ৫৯১ টি কমে দাড়ায় ৩ হাজার ১শ ৭১টিতে। এরপর ২০১৬ সালে ২০১৫ সালের থেকে ৫৮টি কমে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ হাজার ১১৩টিতে।
আর ২০১৭ সালে এসে আরও ৮২৫টি কমে এবছর জিপিএ-৫ এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৪৪-এ।
এ বছরে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ১১৭ জন, মানবিক বিভাগে ৯৪ জন ও বাণিজ্য বিভাগে পেয়েছে ৭৭টি। বিগত সময়ের চেয়ে এ বছর এসএসসিতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল বেশি।
এবছর পরীক্ষায় অংশ নেয় ৯৩ হাজার ৬৭৬ জন। যারমধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৩শ ৬১ জন এবং ছাত্রী ছিল ৪৬ হাজার ৩শ ১৫ জন।
গত বছরের চেয়ে এবার বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল কম। এবছর ৩৯ জন পরীক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছে, যা গত বছর ছিল ৫৯ জন।
এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ২৩ হাজার ৪৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ২১ হাজার ৩৭৮ জন। মানবিক বিভাগে ৩৯ হাজার ৯৫৯ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৭ হাজার ৫৭৭ জন। বাণিজ্য বিভাগে ৩০ হাজার ২২৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছেন ২৩ হাজার ৪০৩ জন।
এ বিষয়ে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আনোয়ারুল আজিম বাংলানিউজকে জানান, এবছর গণিতে পরীক্ষার্থীরা তুলনামূলক খারাপ করেছে। গণিত শিক্ষক অপ্রতুল হওয়ায় এমনটা হতে পারে। পাশাপাশি মফস্বলে সায়েন্সের শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। বরিশাল বোর্ডের আওতায় কোস্টাল বেল্টের অনেক এরিয়া রয়েছে, যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এখনও হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৭
এমএস/এএ