ঘটনাটি গত বছরের ২ মার্চে। তখন সে দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
মেয়েটির প্রশ্নের নির্ভীক ধরন দেখে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছিলেন, ‘ও সাংবাদিক হবে’। এসএসসির ফলাফলে সাফল্যের পর তার প্রতিক্রিয়ায় ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করার কথা জানিয়েছে শতাব্দী। তবে তার ছোটবোন সপ্তর্ষী সাংবাদিক হবে।
জিপিএ-৫ পাওয়ার পর শতাব্দী তার আনন্দ প্রকাশের কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলো না। প্রিয়জন ও আত্মীয় স্বজনদের কাছে এরই মধ্যে মোবাইল ফোনে আনন্দের খবরটি ছড়িয়ে দিচ্ছিলো সে।
শতাব্দীর কথায়, সে ডাক্তার হয়ে গরীব দুঃখী মানুষের সেবা করতে চায়। আর তার বোন সপ্তর্ষী সাংবাদিক হয়ে অসহায় মানুষ কোথায় কেমন আছে তার খবর বের করে আনবে।
বছর খানেক আগে শতাব্দী রাস্তায় মন্ত্রীকে পেয়ে প্রশ্ন করার যে সাহসিকতা দেখিয়ে দেশজুড়ে বেশ প্রশংসা পেয়েছিলো। বিষয়টি তখন ব্যাপক আলোচনায় উঠে স্যোশাল মিডিয়ায়। তার প্রশ্নের পরই ঢাকা-মময়নিসংহ রোডে শেওড়া থেকে মহাখালী পর্যন্ত মহিলা সার্ভিস বাস চালু হয়। একজন ছাত্রীর কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে বাস চালু করে দেয়ায় প্রশংসা পান মন্ত্রীও।
যে বাসে শেওড়া এলাকা থেকে শত শত শিক্ষার্থী শহীদ রমিজ উদ্দিন স্কুলে যায়। বাসটি তখন থেকে এখনও নিয়মিত চলছে। সকাল-বিকেল নিয়মিত চলাচল করছে।
শতাব্দীর ছোটবোন সপ্তর্ষী শেওড়া বাজারে বাসার পাশেই একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ছে। তাদের মা আকলিমা তরফদার গৃহিনী এবং বাবা শফিকুজ্জামান একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৭
এসএ/এসএইচ/এডিবি