ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জ্ঞান ও সৌন্দর্যের আলো ছড়াচ্ছে রাঙ্গামাটি গণগ্রন্থাগার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৯ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৭
জ্ঞান ও সৌন্দর্যের আলো ছড়াচ্ছে রাঙ্গামাটি গণগ্রন্থাগার রাঙ্গামাটি গণগ্রন্থাগার

রাঙ্গামাটি: এক মনোমুগ্ধকর নির্মল পরিবেশ ও প্রকৃতির অপরূপ ছায়ায় ৩৩ শতক জায়গার উপর ২০১৪ সালে রাঙ্গামাটি গণগ্রন্থাগারের নিজস্ব ভবন প্রতিষ্ঠা করে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ গণগ্রন্থাগারটি শুধু জ্ঞানের আলোই ছড়াচ্ছে না প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছড়িয়ে সুখ্যাতি অর্জন করছে। কেউ একবার এই লাইব্রেরির সৌন্দর্য অবলোকন করলে তাকে বারবার ফিরে আসতে হয় এ আঙিনায়।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে সরেজমিন বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী লাইব্রেরিয়ান সুনীলময় চাকমার।

রাঙ্গামাটি গণগ্রণ্থাগারের অপরূপ দৃশ্য-ছবি-বাংলানিউজতিনি বাংলানিউজকে জানান, রাঙ্গামাটি গণগ্রন্থাগারটি শুধু জ্ঞানের আলো ছড়ায় না, মানুষকে আলাদা আনন্দও দেয়।

সুনীলময় চাকমা বলেন, গণগ্রন্থাগারটি আগে ভাড়া বাড়িতে কার্যক্রম চালালেও ২০১৪ সালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ভেদভেদী’র রাঙ্গাপানি সড়কে এ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ভবনটি নির্মাণ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃতির খুব কাছাকাছি থাকায় সাধারণ মানুষের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে।

রাঙ্গামাটি গণগ্রেণ্থাগার-ছবি-বাংলানিউজতিনি বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ আমাদের এ গণগ্রন্থাগার পরিদর্শন করে গেছেন। বিট্রিশ কর্তৃপক্ষরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে “ক্লিন লাইব্রেরি, গ্রিন লাইব্রেরি” খেতাব দিয়ে গেছেন।
 

লাইব্রেরিয়ান আরো বলেন, আমাদের গণগ্রন্থাগার ভবনের চারপাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির প্রধান উপাদান হচ্ছে বিভিন্ন ফুল ও পাতা বাহার গাছের সমারোহ। এখানে ৪০ প্রজাতির ফুল গাছ এবং ৫২ প্রজাতির পাতা বাহার গাছ রয়েছে। যা গণগ্রন্থাগারের সৌন্দর্য বর্ধনে আলাদা সুখ্যাতি এনে দিয়েছে। গণগ্রণ্থাগারের অপরূপ দৃশ্য-ছবি-বাংলানিউজ

লাইব্রেরিয়ান জানান, এখানে অনেক ধরনের ওষুধি গাছও রয়েছে। পাশাপাশি জাপানের বিখ্যাত চেরী ফুলের মতো এখানে একটি  চেরী গাছ রয়েছে। ফুল না ফোটায় গাছের সৌন্দর্য বোঝা যাচ্ছে না। এখানে মানুষ এলে বই পড়ার চেয়ে প্রকৃতির খুব কাছাকাছি চলে যায়। ছবি, সেলফি তুলে আড্ডায় মশগুল হয়ে পড়েন। সারাক্ষণ এখানে সময় কাটান তারা।

তিনি বলেন, বিকেল হতে না হতেই এখানে মানুষের উপস্থিতির সংখ্যা বাড়তে থাকে। এছাড়া পর্যটকরা এ সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় এ প্রতিষ্ঠানটি চোখে পড়লে একবারের জন্য হলেও নেমে আসেন এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।