শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বার বার অভিযোগ করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কুকুরের উৎপাত কমাতে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না এমনটাই দাবি করেছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান।
শিক্ষর্থীদের অভিযোগ, এক মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক হারে কুকুরের উপদ্রব শুরু হয়েছে। হঠাৎ করে ক্যাম্পাসে কুকুরের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তারা খাবার সংকটে ভুগছে। এতে তারা হিংস্র হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট মাঠ, অনুষদ ভবন এলাকা, আবাসিক এলাকাসহ সর্বত্র রয়েছে কুকুরের উৎপাত। এসব এলাকায় কোনো শিক্ষার্থীকে ফাঁকা পেলেই হামলা করে কুকুরের দল। এতে শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না বলেও অভিযোগ।
বিশেষ করে লালন শাহ হল থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান হল মোড় পর্যন্ত রাস্তায় খুব বেশি কুকুরের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। রাত ১০টার পর থেকেই এ রাস্তায় বাড়তে থাকে কুকুরের আতঙ্ক।
মঙ্গলবার (৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র রাশেদুন নবী রাশেদকে ওই এলাকায় কুকুর কামড় দেয়। এসময় তার জিন্স প্যান্ট পরা থাকায় পায়ে কামড় না বসলেও তার পরনের প্যান্ট ছিড়ে যায়।
এর আগে একই স্থানে ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কে এম শরফুদ্দিনসহ চারজন শিক্ষার্থীকেও পাঁচ-ছয়টি কুকুর ধাওয়া করে। একইভাবে বুধবার (১০ মে) রাত ৮টার দিকে ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ছাত্র জুয়েল তনুকে ক্রিকেট মাঠ থেকে ধাওয়া করে চার-পাঁচটি কুকুর। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এলে কুকুরগুলো পালিয়ে যায়।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালযের মেডিকেলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৫ দিনে সাত-আটজন শিক্ষার্থী কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন। তাদের প্রতিষেধক হিসেবে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমি কয়েক দফায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু তাদের ভাষ্যমতে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না। তবুও আমি যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৭
আরবি/এসএইচ