ঢাকা, সোমবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩১, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ সফর ১৪৪৬

শিক্ষা

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য

ট্রাস্ট কলেজ ব্যতিক্রম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৯ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
ট্রাস্ট কলেজ ব্যতিক্রম ট্রাস্ট কলেজ

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ট্রাস্ট কলেজ ব্যতিক্রম। আমাদের দেশে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সিলেবাস সম্পন্ন করার জন্য কোনো ধরনের পাঠ-পরিকল্পনা অনুসরণ করা হয় না। এক্ষেত্রে ট্রাস্ট কলেজ সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম।

গতানুগতিক মুখস্থবিদ্যা, নোটসংস্কৃতি, পাঠ্যসূচি সংক্ষিপ্তকরণ বা সাজেশন নির্ভরশীলতা পরিহার করে শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ সিলেবাস সম্পর্কে দক্ষ করে তুলতে সর্বদা দৃঢ় প্রত্যয়ী।

সৃজনশীল ও কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে বিশ্বায়নের উপযোগী, আলোকিত মানুষ ও দক্ষ জাতি গঠনের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে ট্রাস্ট কলেজ।

অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ট্রাস্ট কলেজ কেন ব্যতিক্রম
ট্রাস্ট কলেজে প্রতিদিনের নিয়মিত ক্লাসের পর ২টি বিশেষ ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ছাত্রছাত্রীরা তাদের দুর্বোধ্য বিষয়গুলো বুঝে নিতে পারে। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার মানোন্নয়নে কলেজের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মুদ্রিত বিষয়ভিত্তিক পাঠ-পরিকল্পনা ও প্রভাষণপত্র ছাত্রছাত্রীদেরকে প্রদান করা হয়, যা তাদের পড়াশোনাকে ত্বরান্বিত করে। কলেজের অভ্যন্তরীণ অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের মানবিক মূল্যবোধ গঠনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। এছাড়াও জাতীয় দিবসগুলো আড়ম্বরপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠানে পালিত হয়। কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের সাথে তাদের অভিভাবকবৃন্দও আমন্ত্রিত হয়ে থাকেন। ট্রাস্ট কলেজ

নির্বাচনি পরীক্ষার পর ছাত্রছাত্রীদের জন্য কলেজের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কোচিং ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয় এবং বোর্ড পরীক্ষার পূর্বে দুইটি মডেল টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যতিক্রমী পাঠদান পদ্ধতি

১. একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পাঠদান: এ পদ্ধতিতে বোর্ডের দুই বছরের সিলেবাসকে একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি বছরকে তিনটি টার্মে ভাগ করা হয়। প্রতিটি টার্মের নির্ধারিত ক্লাসের সংখ্যা অনুযায়ী অধ্যায়সমূহ সাজিয়ে টার্মভিত্তিক পরিকল্পনা করা হয়। টার্ম পরিকল্পনানুযায়ী প্রতিদিনের ক্লাস পরিচালিত হয়ে থাকে।

২. পাঠ-পরিকল্পনা: প্রতিটি ক্লাস পূর্বনির্ধারিত পাঠ-পরিকল্পনা অনুযায়ী নিখুঁতভাবে গ্রহণ করা হয়। ক্লাসের নির্ধারিত সময়ে শিক্ষকগণ কী বিষয় কোন পদ্ধতিতে পাঠদান ও মূল্যায়ন করবেন পাঠ-পরিকল্পনায় তা নির্ধারণ করা থাকে।

৩. লেকচার শিট/প্রভাষণপত্র: প্রতিটি ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের কলেজে ভর্তির প্রাক্কালে মুদ্রিত পাঠ-পরিকল্পনা ও প্রভাষণপত্র সরবরাহ করা হয়। এই প্রভাষণপত্রে আলোচ্য বিষয়ের মূল প্রসঙ্গসহ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নসমূহ উল্লেখ থাকে, যা ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস শুরুর আগে পড়া থাকলে ক্লাস চলাকালে সহজেই অনুসরণ করতে পারে। এতে শিক্ষাদান প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত ও বিশেষ ফলদায়ক হয়। ট্রাস্ট কলেজ

৪.মানসম্মত নোট: কোনো বিষয়ের লেকচার শুরুর পূর্বেই ছাত্রছাত্রীদের 'অ+' পাওয়ার উপযোগী মানসম্মত হ্যান্ডনোট প্রদান করা হয় (অধ্যক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে)। ছাত্রছাত্রীরা এই নোটের সঙ্গে নিজের সৃজনশীল মেধা কাজে লাগিয়ে পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে।

৫. সম্পূর্ণ বই পড়ানো হয়: চূড়ান্ত পরীক্ষার পূর্বে প্রতিটি বিষয়ের মূল বই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে পড়ানো হয়। সেই সাথে শ্রেণিকক্ষেই ছাত্রছাত্রীদের প্রতিটি অধ্যায়ের সকল সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করানো হয়।

৬. কোচিং ক্লাস: নির্ধারিত ক্লাসের বাইরে অতিরিক্ত সময়ে শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ এবং নিবিড় তত্ত্বাবধানে অপেক্ষাকৃত দুর্বল এবং কম মেধাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের জন্য কলেজের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে কোচিং ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়।

৭. অডিও-ভিজ্যুয়াল শিক্ষা মাধ্যম: প্রচলিত প্রভাষণ বা লেকচার পদ্ধতি ছাড়াও প্রজেক্টর, কম্পিউটার, সিডি, ভিসিডিসহ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দেয়া হয়। শিক্ষাদান পদ্ধতির বৈচিত্র্যের কারণে শিক্ষা আনন্দময় এবং আকর্ষণীয় হয়। এতে দুর্বল এবং অমনোযোগী ছাত্রছাত্রীরা সহজেই পঠিত বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভে সক্ষম হয়। শিক্ষা হয় স্থায়ী এবং ফলপ্রসূ। ট্রাস্ট কলেজ

৮. বিকল্প ক্লাসের ব্যবস্থা: কলেজটি আবাসিক এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় হরতাল ও অবরোধে ক্লাস অব্যাহত থাকে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অনিবার্য কারণে ক্লাস চালানো সম্ভব না হলে পরবর্তী নির্ধারিত ছুটির দিনে বিকল্প ক্লাসসমূহের ব্যবস্থা নেয়া হয়।

৯. মেকআপ ক্লাস: অসুস্থতা অথবা বিশেষ কোনো কারণে অধ্যক্ষের পূর্বানুমতিক্রমে ছাত্রছাত্রী কোনো দিন অনুপস্থিত থাকলে মেকআপ ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষকদের নিকট ছাত্রছাত্রীকে উপস্থিত করার বিষয়টি অভিভাবকগণ নিশ্চিত করবেন।

১০. ব্যবহারিক ক্লাস: শ্রেণিকক্ষে পঠিত তত্ত্বীয় বিদ্যাকে আরো কার্যকর এবং বাস্তবজীবনে দক্ষভাবে কাজে লাগানোর প্রয়োজনে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষাগারে হাতে-কলমে (hands on) শিক্ষা দেয়া হয়। এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষা ব্যবহারিক রূপ পায়। এসব বিবেচনায় ট্রাস্ট কলেজ দেশে একটি নতুন শিক্ষা ধারার সূচনা করেছে- এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। বিশ্বমানের (world class) শিক্ষা প্রদানে ট্রাস্ট কলেজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাফল্যের শীর্ষে অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ১১ আবাসিক হোস্টেলে সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান ট্রাস্ট কলেজ-এ ছাত্রছাত্রীদের জন্য পৃথক হোস্টেল সুবিধা রয়েছে, যা পৃথক পৃথক হোস্টেল সুপার দ্বারা সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে হোস্টেলে অবস্থান করে ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখা তত্ত্বাবধান করে থাকেন। ১২ গাইড শিক্ষক/ফর্ম শিক্ষক প্রতি ১০ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য ১ জন গাইড শিক্ষক/ফর্ম শিক্ষক নির্ধারণ করা থাকে। এই গাইড শিক্ষক/ফর্ম শিক্ষক সার্বক্ষণিকভাবে ছাত্রছাত্রীদের পর্যবেক্ষণ করে থাকেন এবং যে-কোনো সমস্যায় ছাত্রছাত্রীর পাশে থেকে তা দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।