ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবি সিনেট নির্বাচনে বিভক্তই রয়ে গেল নীলদল

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৮ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
ঢাবি সিনেট নির্বাচনে বিভক্তই রয়ে গেল নীলদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন। (ফাইল ফটো)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট নির্বাচন নিয়ে সমঝোতায় আসতে পারেনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীলদল। 

মনোনয়ন দাখিলে নীল দলের পক্ষ থেকে দু‘টি প্যানেলে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়।  রোববার (১৪ মে) ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন।

দু’টি পক্ষের মধ্যে কোনো ধরনের সমঝোতা না হওয়ায় উভয় পক্ষই আলাদাভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।  

আগামী ২২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হবে সে নির্বাচন।

দু’টি পক্ষের একটি নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীনের নেতৃত্বে নির্বাচন করছে। এই পক্ষটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকপন্থি বলে পরিচিত। অন্য পক্ষটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালপন্থি বলে পরিচিত।

অধ্যাপক আরেফিনপন্থি প্যানেলের শিক্ষক, বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ এবং শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, নীল দল একটাই। এর বাইরে যারা নির্বাচন করবে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবে।  

অন্য পক্ষটির নীল দলের প্যাড করার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মাকসুদ কামালপন্থি প্যানেলের শিক্ষক এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবদুর রহিম বাংলানিউজকে বলেন, আলাদাভাবে নির্বাচন করলে নীল দলের শক্তি দুর্বল হয়ে যাবে। এজন্য আমরা অপেক্ষা করেছিলাম সমঝোতার জন্য। কিন্তু কোনো ধরনের উদ্যোগ আমরা লক্ষ্য করিনি। তারা যদি সত্যি নীলদল হতো, তাহলে সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রার্থীদের নাম কিভাবে পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে পাল্টে যায়?

নীল দলের বর্তমান কমিটির মেয়াদ এক বছর আগে শেষ হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

নাজমা শাহীনের নেতৃত্বে নীল দলের প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন— অধ্যাপক এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া, অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদ, অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন, অধ্যাপক ইসতিয়াক মঈন সৈয়দ, অধ্যাপক এস এম আব্দুর রহমান, অধ্যাপক হাসিবুর রশীদ, অধ্যাপক সুব্রত কুমার আদিত্য, অধ্যাপক সুপ্রিয়া সাহা, অধ্যাপক সাবিতা রিজওয়ানা রহমান, অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ, অধ্যাপক মোহাম্মাদ আলী আক্কাছ, অধ্যাপক মো. মজিবুর রহমান, অধ্যাপক মো. ফজলুর রহমান, মো. জিয়াউর রহমান, অধ্যাপক মো. আব্দুস ছামাদ, অধ্যাপক মো. আব্দুল আজিজ, অধ্যাপক মো. আফতাব উদ্দিন, অধ্যাপক মো. আফতাব আলী শেখ, অধ্যাপক মুবিনা খন্দকার, অধ্যাপক কাজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, অধ্যাপক মো. মাহাবুবুর রহমান, অধ্যাপক বায়াতুল্লাহ কাদেরী, অধ্যাপক নাজমা শাহীন, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসাইন, অধ্যাপক তৌহিদা রশীদ, সহযোগী অধ্যাপক এস এম রেজাউল করিম।

আর মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে নীল দলের প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন— অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক সাদেকা হালিম, অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী, অধ্যাপক জিনাত হুদা, অধ্যাপক তাজিন আজিজ চৌধুরী, অধ্যাপক মো. হারুনুর রশীদ খান, অধ্যাপক এমরান কবীর চৌধুরী, অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শামছুদ্দিন, অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক শাহ মো. মাসুম, অধ্যাপক জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ, অধ্যাপক শারমিন রুমি আলীম, অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবির, সহযোগী অধ্যাপক সুরাইয়া আক্তার, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, অধ্যাপক আবু সারা শামসুর রউফ, অধ্যাপক সুব্রত কুমার সাহা, সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রহিম, সহকারী অধ্যাপক নাজির হোসেন খান, অধ্যাপক কে এম সাইফুল ইসলাম খান, সহযোগী অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ শওকত আলী, অধ্যাপক গোবিন্দ চক্রবর্তী, অধ্যাপক আখতার হোসেন, অধ্যাপক এ কিউ এম মাহবুব, অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, অধ্যাপক মো. ফিরোজ জামান, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূইয়া, সহকারী অধ্যাপক মো. মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার ও অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর দে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
এসকেবি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।