তবে প্রতিষ্ঠাকাল ধরা হয় স্বাধীনতার পর থেকে। তখন অল্প কিছু বই দিয়ে চলতো গণগ্রন্থাগারটি।
২০১১ সালে ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় আধুনিক গণগ্রন্থাগারটি। যেখানে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৩০ জন পাঠক চোখ রাখছেন হাজার হাজার পাঠ্যবই, গল্প, উপন্যাসসহ ১২টি জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকা এবং ১৪টি সাময়িকীতে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ছাড়া অন্য দিনগুলোতে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে লাইব্রেরিটি। আপাতত একসঙ্গে বসে ৫০ জনের পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে অভ্যন্তরের কাজ শেষ হলে এ সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
খাগড়াছড়ি জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের অফিস সহায়ক ললিতা রঞ্জন চাকমা বলেন, পাঠকরা চাইলে লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে বাসার পড়তে পারবেন। পরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফেরত দেবেন। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের স্কুলের আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে। অন্য পেশার মানুষদের গণগ্রন্থাগারের নির্ধারিত ফরম পূরণ করলেই হবে। এখানে ইন্টারনেট তথ্যসেবাও দেওয়া হয়। কেউ যদি চান, ইন্টারনেট সেবা নিতে পারবেন।
শান্তিচুক্তি অনুসারে তিন পার্বত্য জেলার গণগ্রন্থাগার পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাই গণগ্রন্থাগার পরিচালনার মূল ভার জেলা পরিষদের।
প্রতি বছর যে বাজেট আসে, তা জেলা পরিষদ হয়ে খরচ করা হয়।
জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান রিকেন চাকমা বলেন, গণগ্রন্থাগারগুলোতে সরকারের বিশেষ নজর রয়েছে। পাঠকবান্ধব করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘গত বছর যেখানে ২৭ হাজার ১৩২টি বই ছিল, সেখানে এ বছর রয়েছে ২৮ হাজার ৪৪৫টি। আর গত বছর অর্থ বরাদ্দ এসেছিল ৫৩ হাজার ৫৮ টাকা, সেখানে এ বছর পেয়েছি ৬০ হাজার ৬৮৮ টাকা। এ টাকা পার্বত্য জেলা পরিষদ হয়ে পত্রিকা ও সাময়িকী কেনা, ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ বিল দেওয়াসহ আনুষঙ্গিক কাজে খরচ করা হয়’।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক রেম্রাচাই চৌধুরী বলেন, ‘আগের চেয়ে সুযোগ-সুবিধায় এখন লাইব্রেরিটি অনেকটাই আধুনিক। এ বছরের শেষে আরো সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সাজানো হবে’।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৬ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
এএসআর