ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

লাইব্রেরিয়ান ছাড়াই চলছে সুনামগঞ্জ লাইব্রেরি! 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪২ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
লাইব্রেরিয়ান ছাড়াই চলছে সুনামগঞ্জ লাইব্রেরি!  সুনামগঞ্জ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার ফটক। ছবি: বাংলানিউজ

সুনামগঞ্জ: প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোনো লাইব্রেরিয়ান আসেননি সুনামগঞ্জ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে। পদটি এখন পর্যন্ত শূন্য রয়েছে। 

জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান ও একজন অফিস সহায়ক দিয়েই চলছে গণগ্রন্থাগারটির কার্যক্রম।

২০১১ সালে প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত আধুনিকতার ছোঁয়াও লাগেনি লাইব্রেরিটিতে।

নেই কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগ, তবে এটি প্রক্রিয়াধীন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল, নেই সিসি ক্যামেরা। নেই জেনারেটর বা সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থাও। বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে বই বা পত্রিকা পড়া কঠিন হয়ে পড়ে।

গণগ্রন্থাগারে রয়েছে ২৩ হাজার ৮৬টি বই। পাঠকদের চাহিদার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে জননন্দিত লেখক হুমায়‍ূন আহমেদের বই ও ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশন বই। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শামসুর রাহমান, বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মীর মোশারফ হোসেনসহ বিভিন্ন লেখকের বইও রয়েছে।

একসঙ্গে ৯০ জনের বসে পড়ার উপযোগী পাঠকক্ষে শিশু ও নারীদের জন্য রয়েছে আলাদা বসার ব্যবস্থা।  
 
পাঠে আগ্রহ বাড়াতে গণগ্রন্থাগারে বিভিন্ন দিবসে রচনা, বই পড়া, আবৃত্তি ও হাতের সুন্দর লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

সরেজমিনে গেলে জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান আনিছুর রহমান বলেন, ‘৪টি পদের মধ্যে আমরা দু’জন রয়েছি। আমি আর একজন অফিস সহায়ককে দিয়েই কাজ চলছে। কোনো পাঠক আমাদেরকে না জানিয়ে বই নিয়ে গেলে ধরা খুবই কঠিন ব্যাপার’।

‘এছাড়া তেমন কোনো সংকট নেই। তবে পাঠকদের সুবিধায় বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হলে আরও সমৃদ্ধ হবে গণগ্রন্থাগারটি’- বলেন তিনি।  

আনিছুর রহমান আরও বলেন, ‘গণগ্রন্থাগারে আরও জনবল বাড়াতে অনেক চেষ্টা করছি। শুনেছি, ১১ জন স্টাফ নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। সেটি মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে’।

জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পাঠক সাকিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলে, ‘আমি স্কুল ছুটির পর লাইব্রেরিতে বই পড়তে আসি। এখানে অনেক বই রয়েছে। আমি বেশি পড়ি গল্পের বই। এখানকার নিরিবিলি পরিবেশে বই পড়ার অনেক সুবিধা’।  

গণগ্রন্থাগারে আসা আরেক পাঠক প্রভাষক ননী গোপাল দেবনাথ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বন্ধের দিন বাদে প্রতিদিন বই পড়তে আসি। আমি গণিতের শিক্ষক। তাই বিজ্ঞান বিষয়ক বই বেশি পড়ি। গণিত নিয়ে আমার বই লেখার চিন্তাও রয়েছে’।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৪১ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।