ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষায় উচ্চতর গবেষণা সহায়তা পাচ্ছেন ১৬৬ জন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৭
শিক্ষায় উচ্চতর গবেষণা সহায়তা পাচ্ছেন ১৬৬ জন

ঢাকা: শিক্ষা খাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচির আওতায় সাতটি ক্ষেত্রে গবেষণার জন্য ১৬৬ জনকে বাছাই করেছে এ সংক্রান্ত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি। এ বছর ওই ১৬৬ জনকে ১৫ কোটি ১৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
 

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) অডিটোরিয়ামে এ টাকার চেক বিতরণ করবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
 
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দেশে উচ্চশিক্ষার বর্তমান ধারায় বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উপযুক্ত গবেষণার চর্চা না থাকায় দ্রুত দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না।

এ ধারা অব্যাহত থাকলে উন্নত প্রযুক্তি ও জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নির্ধারিত সময়ে কাঙ্খিত লক্ষ্য ও অগ্রগতি অর্জন বিলম্বিত হবে।
 
এ অবস্থার নিরসনে উচ্চতর গবেষণা খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মানসম্পন্ন বিজ্ঞানী, গবেষক, প্রযুক্তিবিদ ও সমাজ বিজ্ঞানী গড়ে তোলার মাধ্যমে সামগ্রিক জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিতের লক্ষ্যে শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়নের নীতিমালা রয়েছে।
 
গাণিতিক বিজ্ঞান, জীবন সম্পর্কিত বিজ্ঞান, ভৌত বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, আইসিটি, মেরিন সায়ে, এসডিজি ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক গবেষণায় অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়।
 
গবেষণার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো- উচ্চতর গবেষণায় পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে উন্নত জ্ঞান ও প্রযুক্তি আহরণ, উদ্ভাবন ও প্রয়োগের বিস্তৃতি সাধন করা এবং তাকে ফলপ্রসূভাবে কাজে লাগানো।
 
এছাড়া সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, অনুশীলন ও প্রায়োগিক দক্ষতা সম্পন্ন প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ ও সমাজ বিজ্ঞানী গড়ে তোলা।
 
দেশজ সম্পদ ও মেধার অধিকতর কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে উৎপাদন ব্যয় হ্রাস ও প্রবৃদ্ধি অর্জন ত্বরান্বিত করা।
 
পরিবেশ অনুকূল উৎপাদন সংস্কৃতি গড়ার বৈশ্বিক আন্দোলনে (যেমন- বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবেলা) বাংলাদেশের সক্রিয় সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা।
 
মৌলিক ও ফলিত গবেষণাকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে গবেষণা সংস্কৃতিকে অব্যাহত রাখা।
 
২০১৬-১৭ অর্থবছরে উচ্চতর গবেষণায় ১৫ কোটি ৩৯ লাখ ৯২ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল। তার মধ্যে অর্থ বিভাগ ১৫ কোটি ১৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার অনুমোদন করেছে।
 
২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৫ কোটি ৩৯ লাখ ৯২ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও অর্থ বিভাগ ১৫ কোটি ২৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকার অনুমোদন করে। ওই টাকা ১৭২ জন গবেষকের মধ্যে তিন কিস্তিতে বিতরণ করা হয়েছে।
 
নীতিমালা অনুসারে, দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি সাধারণ, বিশেষায়িত, কারিগরি, কৃষি ও চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়সহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন স্নাতকোত্তর কলেজগুলো এ সহায়তা কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত।
 
গবেষণায় সম্পৃক্ত বা আগ্রহী সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সুবিধাপ্রাপ্ত হন।
 
অর্থ সহায়তার জন্য মানসম্মত দেশি-বিদেশি জার্নালে প্রকাশনা ও গবেষণায় অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আবেদনকারীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে প্রবন্ধ উপস্থাপন বা অংশগ্রহণকারীরাও প্রাধান্য পান।
 
এ সুবিধা পেতে আগ্রহীদের অনলাইনে ব্যানবেইজে প্রকল্প প্রস্তাব জমা দিতে হয় বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৭
এমআইএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।