ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ ভাদ্র ১৪৩১, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ সফর ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা অনড় অবস্থানে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০১৭
জাবি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা অনড় অবস্থানে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসনের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে তিন দিন ধরে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুলাই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে অনশন বসেন আন্দোনকারী শিক্ষার্থীরা। একটানা তিন দিন অনশনের পরে ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে অনশন প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা।

একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। এক সপ্তাহেও মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি না দেখে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ৩১ জুলাই (সোমবার) থেকে প্রশাসন ভবন অবরোধ করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

বুধবার (২ আগস্ট) অবরোধের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো সুরাহা হয়নি। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবে কার্যকর হয়নি।

এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ে অনড় অবস্থানেই আছেন। মামলা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নজির আমিন চৌধুরী জয়। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা যেকোন সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আছি। ’

এর আগে ২ আগস্ট বুধবার বিকালে ‘সন্ত্রাস ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চলমান আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন প্রগতিশীল শিক্ষকরা। সংবাদ সম্মেলনে বুধবার জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই মামলা প্রত্যাহার না করলে রাজপথে নামার ঘোষণা দেন তারা। কিন্তু দিন পেরিয়ে গেলেও প্রশাসনের তরফ থেকে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

বুধবার বিকালে জরুরি সিন্ডিকেট মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিটিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাছে যাতে বিঘ্ন না ঘটে, সেজন্য এমনসব কার্যক্রম থেকে শিক্ষার্থীদের বিরত থাকতে বলা হয়ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিন্ডিকেট সদস্য জানান। মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মো. আমির হোসেন ও রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ফোনকল রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৭
এনএএইচ/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।