ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ ভাদ্র ১৪৩১, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ সফর ১৪৪৬

শিক্ষা

‘আমার মেয়াদ বৃদ্ধি করলেও অধ্যাদেশ লঙ্ঘন হতো’

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৭
‘আমার মেয়াদ বৃদ্ধি করলেও অধ্যাদেশ লঙ্ঘন হতো’ সাংবাদিক সম্মেলনে কথা বলছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: নির্বাচন না দিয়ে নতুন ভারপ্রাপ্ত ডিন নিয়োগকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ লঙ্ঘন বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া। তবে পুনরায় যদি তাঁর মেয়াদ ‍বৃদ্ধি করা হতো তাহলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ লঙ্ঘন হতো বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডিন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি। গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের নেয়া সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমকে ডিনের দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্তকে আইনের পরিপন্থী উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেন টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফি বিভাগের এ অধ্যাপক।

অধ্যাপক শফিউল আলম বলেন, এক ভারপ্রাপ্ত ডিনকে সরিয়ে আরেক ভারপ্রাপ্ত ডিন নিয়োগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও প্রচলিত রেওয়াজ পরিপন্থী এবং অধ্যাদেশের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। রেওয়াজ অনুযায়ী পরবর্তী ডিন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত ডিন দায়িত্ব পালন করেন। যা ইতোপূর্বে হয়েছে। কিন্তু আমাকে কেন নির্বাচন না দিয়ে সরিয়ে দেয়া হলো। তাহলে আমি কি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আক্রোশের শিকার?’

তিনি বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে লিখিতভাবে জানিয়েছি যে, তিন মাস পূর্ণ হতে আর বেশিদিন নেই। তাই হয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন, অন্যথায় ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমাকে ডিন হিসেবে কন্টিনিউ করুন। তবে এরপর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করে আমাকে সরিয়ে দেয়া হল। কেন এমন করলো, আমি তা জানতে চাই।

ডিন নির্বাচন না হওয়ার জন্য বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান নাকি প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক দায়ী সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি দেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত নিয়োগ পাওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে ডিন নির্বাচিত হবে। কিন্তু আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হই তখন নির্বাচন করার সময় পাইনি। ডিন নির্বাচনের জন্য  ১৫ দিন লাগে। কিন্তু আমি পেয়েছি মাত্র ১৪ দিন। সময়ের অভাবে নির্বাচন দিতে পারিনি। যদি নির্বাচন না হয় সে ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ২৪(এল) অনুসারে নির্বাচন না হলে সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত নেবে। সে ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।

অধ্যাদেশের ২৪ (এল) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুযায়ী যেহেতু ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন না হলে কি হবে তার উল্লেখ নেই, সেহেতু সিন্ডিকেট পরবর্তী করণীয় ঠিক করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রাখবে। এই ধারা অনুযায়ী সিন্ডিকেটের গৃহীত সিদ্ধান্ত সঠিক বলে সিন্ডিকেটের সদস্যদের কয়েকজন বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৭
এসকেবি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।