জেলার সব চেয়ে বেশি ১৮৩ জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে মোড়েলগঞ্জ উপজেলায়। এর মধ্যে ৩৭টি পদ প্রধান শিক্ষকের।
যেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে, সেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা ও পাঠদান ব্যহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
শরণখোলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার বলে, স্যার নেই তাই আমাদের স্কুলে সব ক্লাস হয় না।
আরেক শিক্ষার্থী রুমানা বলে, স্কুলে স্যার না থাকায় আমরা স্কুলে এসে বসে থাকি।
অভিভাবক ফরিদ খান বলেন, বাচ্চারা বিদ্যালয়ে গিয়ে বসে থাকে। সব বই পড়াতে পারে না শিক্ষকরা। স্কুলে নাকি শিক্ষক কম।
শরণখোলার কুড়িয়াখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আব্দুর রব আকন বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষক তো নিয়োগ দেয় সরকার। আমরা কী করবো।
বাগেরহাট সদর উপজেলার মির্জাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মানছুরা খানম চম্পা জানান, তাদের বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় অফিসিয়াল কাজগুলো সহকারী শিক্ষকদের করতে হয়। যার কারণে পাঠদান ব্যাহত হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হয় সরাসরি নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে। আর প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের ৩৫% হয় পিএসসির মাধ্যমে এবং ৬৫% হয় সহকারী শিক্ষকদের পদন্নোতির মাধ্যমে। সেদিক দিয়ে পদন্নোতি পাওয়ার যোগ্য অনেক সহকারী শিক্ষক বাগেরহাট জেলায় রয়েছেন। ৬৫% সহকারী শিক্ষক পদন্নোতি পেলে প্রধান শিক্ষকের ২১৬টি পদ পূর্ণ হয়। সে ক্ষেত্রে জেলায় ১৪০ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হবে।
সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, জেলায় শূন্য থাকা সহকারী শিক্ষকের তালিকা আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয়ভাবে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। শূন্য থাকা প্রধান শিক্ষকের ৬৫% পদ পূরণের জন্য যোগ্য সহকারী শিক্ষকদের তালিকাও পাঠানো হয়েছে। যাচাই বাচাই চলছে। শিগগিরই সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৭
এসআই