বুধবার (৪ অক্টোবর) শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পোভার্টি স্টাডিজ বিভাগ ও অ্যাগ্রেরিয়ান রিসার্চ ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে চালের কৃত্রিম সংকট ও উত্তরণ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেকৃবি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পোভার্টি স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুল হক কাজল।
মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, জণগণের সুবিধার্থে চালের মূল্য সহনীয় রাখার জন্য দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে চালের বাজারের যোগান প্রবাহের সংশ্লিষ্ট সব পর্যায়ের জন্য বিশেষ নীতিমালা গ্রহণ করা দরকার।
তিনি আরো বলেন, কৃষি পণ্যের বাজার তদারকি করার জন্য উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং সেল স্থাপন করে, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে সাব-ক্যাডার বা কৃষি বিপণন ক্যাডার তৈরির মাধ্যমে কৃষি অর্থনীতির গ্র্যাজুয়েটদের নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। যারা নিয়মিতভাবে উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে সব ধরনের কৃষি মনিটরিং ও বাজার নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তারাও দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
চালের কৃত্রিম সংকট সমাধানের উপায় সম্পর্কে বক্তারা বলেন, স্বল্পমেয়াদী পদক্ষেপ হিসেবে আছে খাদ্য মজুদ আইনের তাৎক্ষণিক প্রয়োগ করা, বাজার ব্যবস্থা তদারকি করা, দেশব্যাপী খোলা বাজারে চাল বিক্রি করা ইত্যাদি। দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সরকারকে। এছাড়া, মিল মালিকদের চাল মজুদের নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া, উপজেলা পর্যায়ে চালের সর্বক্ষণের উন্নত ব্যবস্থা করা ইত্যাদি থাকতে হবে।
কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. ফজলুল করিম বলেন, সরকারকে চাল ব্যবসায়ীদের ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
সভায় শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহম্মদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন যেভাবে দ্রুত ঘটছে আমাদের খাদ্যাভ্যাসেও তাতে কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে। তাতে চালের উপর কিছুটা চাপ কমবে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. জাফর উল্লাহ, অ্যাগ্রেরিয়ান রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড আবদুল হামিদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৭
এএটি/এমআরপি