শনিবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ৫৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত বিষয় নিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে তিনি সমস্ত দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপর ন্যস্ত করেছেন এবং এ বিষয়ে যেকোনো ধরনের সাহায্য করবেন বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলিপ্যাডে বেলুন ও সাদা পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
উদ্বোধন শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি হেলিপ্যাড থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে শেষ হয়।
এরপর ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান।
সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মন্ডল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. এ. কে.এম জাকির হোসেন।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান ও নির্বাহী সম্পাদক কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ছাইফুল ইসলাম।
শিক্ষা ও গবেষণায় বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের মধ্যে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে বাকৃবি।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে এদিন কৃষিক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদানের প্রেক্ষিতে কৃষক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও এখন পর্যন্ত বাকৃবিতে উদ্ভাবিত ১৪০টি প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হয়।
সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি জনপ্রিয় ব্যান্ড দল “জলের গান” অংশ নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৭
আরআই