ঢাকা, বুধবার, ১৯ ভাদ্র ১৪৩১, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

১১ দফা দাবিতে বেরোবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি 

বেরোবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৭
১১ দফা দাবিতে বেরোবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি 

বেরোবি, (রংপুর): বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্যকে ১১ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর চেতনা, আদর্শ ও মূল্যবোধে উজ্জীবিত শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল।

রোববার (৮ অক্টোবর) নীল দলের সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।  

উপাচার্য প্রফেসর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ক্যম্পাসের বাইরে অবস্থান করায় তার ব্যক্তিগত সহকারী আমিনুর রহমানের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

স্মারকলিপির অনুলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, রেজিস্ট্রার, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।  

এছাড়া স্মারকলিপির অনুলিপি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্য দপ্তরে অবগতির জন্য পাঠানো হবে বলে জানানো হয়।

১১ দফা দাবিতে রয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম রোকেয়ার প্রতিকৃতি স্থাপন, সেশনজট নিরসনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিজ্ঞাপিত পদে শিক্ষক নিয়োগ এবং বঞ্চিত নয়জন শিক্ষককে পদোন্নতি দেওয়া, অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের চাকরিকাল এক বছর পূর্ণ হলে তাদের স্থায়ী পদে পদায়ন, সব পদে যোগ্যতা অর্জনের সময় থেকে পদোন্নতি কার্যকর, শিক্ষা, শ্রান্তি-বিনোদন এবং মাতৃত্বকালীনসহ সব ধরনের ছুটি নেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করা, ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম চালু, ২০০৯ সালের ২৯ নম্বর আইন যথাযথভাবে অনুসরণ করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, শিক্ষকসহ সব পদে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী/তাদের উত্তরসূরিদের বিবেচনা না করার প্রভৃতি।

এ বিষয়ে নীল দলের সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, উপাচার্য নিয়োগ প্রজ্ঞাপনের (ঘ) শর্তানুযায়ী সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। কিন্তু গত চার মাসে অধিকাংশ সময়ে তিনি ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করায় প্রত্যাশানুযায়ী একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম গতিশীল হয়নি।  

অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক মো. বেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বিভাগের প্ল্যানিং কমিটি ও বাছাই বোর্ডের সুপারিশ থাকলেও গত ০৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ৫৪তম সিন্ডিকেট সভায় ২৯ জনের মধ্যে ০৯ জন শিক্ষককে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি না দিয়ে বঞ্চিত করা হয়েছে, যা অমানবিক।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৭
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।