বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
পরে শুভেচ্ছাবাণী পাঠ করার পর বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটার পরে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। বিগত বছরের যেকোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিতির সংখ্যাকে ছাপিয়ে যায়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণকালের উপস্থিতিতে শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে পার্ক মোড় হয়ে রংপুর শহরের মডার্ন মোড় ঘুরে আবার ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়।
এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে ব্যানার, ফেস্টুন, বাঁশিসহ বর্ণিল সাজে শোভাযাত্রাকে মাতিয়ে তোলে।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী চলে একাডেমিক ফেয়ার। মেলায় ২০মত স্টলে বিভিন্ন বিভাগ এবং গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলো তাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরে।
এরপর বেলা ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং দুপুর দেড়টায় কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে নারী জাগরণের অগ্রদূতের নামে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় দশ বছরে পদার্পণ করলো। সময়ের ব্যবধানে বিশ্ববিদ্যালয়টি সমৃদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আরও সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর। কিছুতেই আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন থেকে পিছপা হওয়া যাবে না।
২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে তিনটি অনুষদের অধীনে ছয়টি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীতে ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে তিনটি, ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে চারটি, ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে পাঁচটি এবং ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে আরও একটিসহ মোট ১৫টি নতুন বিভাগ চালু হয়।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয়টি অনুষদের অধীনে ২১টি বিভাগে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
জিপি/