ঢাকা, বুধবার, ২০ ভাদ্র ১৪৩১, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘মেধাবীরাই গড়বে দেশের মানব সম্পদ’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
‘মেধাবীরাই গড়বে দেশের মানব সম্পদ’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। ছবি: ড. মাহফুজ পারভেজ

লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে উচ্চ শিক্ষাঙ্গনে প্রকৃত যোগ্যদের বেছে নেওয়ার সংকল্প ব্যক্ত করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, মেধাবীরাই গড়বে দেশের মানব সম্পদ। অতএব ভর্তি পরীক্ষায় কোনভাবেই যাতে অযোগ্যরা অসুদপায় অবলম্বন করে আসতে না পারে, সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে উপাচার্য বলেন, ইতিমধ্যেই সংগীত, খেলাধুলা ইত্যাদি কোটা বন্ধ করা হয়েছে। স্বতন্ত্র বিভাগে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সেখানে ভর্তি হতে হবে।

বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস বা প্রযুক্তি ব্যবহার করে অস‍ৎ পন্থা গ্রহণের উদ্যোগ নস্যাৎ করে দোষীদেরও আইনের আওতায় আনা হয়েছে। স্বচ্ছ, অবিতর্কিত ও পরিচ্ছন্ন ভর্তি পরীক্ষায় যথাযোগ্য শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করার মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চোধুরী বলেন, বর্তমান সরকারের সদিচ্ছায় এখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নতুন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার ফলে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অতি-আধুনিক ও প্রাগ্রসর বিষয়ের চর্চার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। আমরা আশা করি, একবিংশ শতাব্দীর জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের পথে বিশ্ববিদ্যালয় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণ, ছাত্র সংগঠনসমূহের মধ্যে সহিষ্ণুতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার উদাহরণ উল্লেখ করে প্রফেসর ইফতেখার বলেন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান এলাকা চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক ও যোগাযোগ গুরুত্বের সাথে সমন্বয় করার জন্য এখানে উচ্চশিক্ষার অগগতি সাধনের কোনও বিকল্প নেই। বর্তমানে উন্নয়নের মহাসড়কে চলমান চট্টগ্রামের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উচ্চ শিক্ষাক্ষেত্রেও প্রযুক্তি ও কাঠামোগত নানা অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে। আগামী বছরগুলোতে সরকারের গৃহীত নানা প্রকল্প ও পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম উচ্চ শিক্ষাঙ্গনে পরিণত হবে। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারি নিরন্তর কাজ করে চলেছেন।

উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, পেশাগত জীবনে যিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একজন সমাজবিজ্ঞানি ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ, বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ গণতন্ত্র, উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে যেভাবে এগিয়ে চলেছে, তা অব্যাহত থাকলে আমরা অদূর ভবিষ্যতেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবো, যার ইতিবাচক প্রভাব সমাজ, সংস্কৃতি, শিক্ষাসহ সর্বক্ষেত্রে প্রতিভাত হবে।

দারিদ্র্য, অপুষ্টি, অশিক্ষা, পরিবেশহীনতা, সন্ত্রাস ও মাদক সমস্যাসহ নানামুখী পশ্চাৎপদতার হাত থেকেও দেশ এবং দেশবাসী মুক্তি পাবে। জাতির এই উন্নয়নমুখী অভিযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে সহায়ক শক্তিকেন্দ্র রূপে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিকে স্বচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় তার উপর অর্পিত দায়িত্বের প্রথম ধাপটি অতিক্রম করলো। এর ফলে মেধাবীদের উচ্চশিক্ষায় এনে দেশের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ মানব সম্পদ গঠনের কাজটি সহজতর হলো।

বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
এমপি/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।