ঢাকা, বুধবার, ২০ ভাদ্র ১৪৩১, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থী-কর্মচারীদের সংঘর্ষে আহত ১৫

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
পাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থী-কর্মচারীদের সংঘর্ষে আহত ১৫ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পাবনা: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়।
 
পাবনা সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ইবনে মিজান বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ডা. আব্দুল আলীমকে এক কর্মচারীর হাতে লাঞ্ছিত হওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার সকাল ১১টার দিকে এ বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থী ও কর্মচারী লিটনের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা চালায়। এসময় নিরাপত্তা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামসহ চার/পাঁচজন আহত হন। পরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংগঠিত হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করতে গেলে ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ।

দফায় দফায় এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে আট/নয়জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রায় ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির সভাপতি শামস সাদ ফকরুল বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষকদের উস্কানিতে একদল শিক্ষার্থী এসে আমাদের কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাধা দিতে গেলে তারা সংগঠিত হয়ে আবারও এসে আমাদের ওপর হামলা করে। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এসময় তারা কর্মকর্তাদের প্রায় ৫০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সুরহা করার চেষ্টা করছি। তবে আমাদের ১২/১৩ জন আহত হয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হয়ে একজন সম্মানিত শিক্ষকের গায়ে হাত তুলেছে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষক লাঞ্ছনার কর্মসূচি পালন করছিলাম। কিন্তু কর্মচারীরা আমাদের ওপর হামলা করলে এ খবর পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ের প্রক্টর আওয়াল কবির জয় বাংলানিউজকে বলেন, দু‘পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বিষয়টি নিয়ে জরুরি বৈঠকের আহবান করা হয়েছে। বৈঠকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। বিচারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা আজকের জন্য কর্মসূচি সমাপ্ত করেছে বলে দাবি করেন প্রক্টর।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।