ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থীরা হলেন- মানবিক বিভাগের দশম শ্রেণির তাহমিনা হক (রোল ১১) ও খাদিজা আক্তার আঁখি (রোল ১৩)। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়ায় নির্বাচনী পরীক্ষায় ইংরেজি ২য় পত্র ও গণিত বিষয়ে অকৃতকার্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ দুই শিক্ষার্থীর।
জানা যায়, নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই দুই শিক্ষার্থীকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে দিচ্ছে না। অথচ একই বিদ্যালয়ে ৫-৬ বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছে। এছাড়া একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্যদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নিয়ে ফরম পূরণ করানো হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
খাদিজা আক্তার আঁখি ও তাহমিনা হক অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়ে স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারে পড়েছি। এর জের ধরে আমাদের নির্বাচনী পরীক্ষায় দুই বিষয়ে অকৃতকার্য করা হয়েছে। কিন্তু একই বিভাগে ৬ বিষয় অকৃতকার্যদের কাছ থেকে বোর্ড ফি’র চেয়েও বেশি টাকা নিয়ে ফরম পূরণ করানো হয়েছে।
ফরম পূরণ করতে গেলে সহকারী শিক্ষক সমির পাল ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ে এতো শিক্ষক থাকতেও কেন বাইরে প্রাইভেট পড়েছ। ’
রামগঞ্জ সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়ায় তাদের ফরম পূরণ না করতে দেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। তারা দুই বিষয়ে খুব কম নম্বর পেয়েছে। যে কারণে তাদের ফরম পূরণ করানো সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এএ