রোববার (১৯ নভেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা চলাকালে প্রথম দিন ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালে উপজেলার মহেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নবিয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে ৪ শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবীন্দ্র চাকমা জানান, মহেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরিদর্শক ও মহেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারজানা আক্তার নামে এক শিক্ষিকা মোবাইল ফোনে ছবি তুলে ইমোতে পাঠাবার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন।
এ সময় ওই শিক্ষিকার মোবাইল ফোনটি জব্দ করে তাকে উপজেলা সদরে এনে ভবিষ্যতে আর কোনো পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনে অযোগ্য ঘোণষা করে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দেবিদ্বার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার জানান, মহেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সাথে মোবাইল ফোন রাখার দায়ে ওই কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক বড়শালঘর বেগম নূরুন্নাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক চন্দনা রানী রায়, প্রজাপতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাছলিমা আক্তার ও বড়শালঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারজানা আক্তার এবং নবিয়াবাদ কেন্দ্রে পরিদর্শক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রকিব উদ্দিনের নির্দেশে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে কুরুইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি পরীক্ষায় দেবিদ্বার উপজেলার ১৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১১৮টি কেজি স্কুলসহ ৩০৭টি স্কুলে ১০ হাজার ৬৫২ জন শিক্ষার্থী এবং ৩৮টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার ১ হাজার ৪৯ জনসহ ৩৪৫টি বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা থেকে ১১ হাজার ৭০১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।
পরীক্ষার প্রথম দিনে প্রাথমিক ও কেজি স্কুলের ৩১৮ জন এবং ইবতেদায়ি মাদ্রাসার ১৫৩ জন শিক্ষার্থীসহ মোট ৪৭১ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
এমজেএফ