প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়া শিক্ষার্থীরা হলো- রিনা আক্তার, জহির মিয়া, জয় দেববর্মা, রিপন দাস ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান। ৫ জনই ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরের বিরতির পর বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মাহবুবুল আলম স্বপন ক্লাস নেন। পড়ার জন্য ক্লাসের ২১ জন শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করেন তিনি। বেত্রাঘাতে ৫ শিক্ষার্থী আহত হন। শিক্ষার্থীরা শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসাও নিয়েছে।
বিষামণি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূপুর রাণী সেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় স্কুলে এ বিষয়ে একটি জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। এতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের সমন্বয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
অফিস সহকারীর ক্লাস নেওয়ার ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক বলেন, স্কুলে শিক্ষক কম থাকায় মাঝে মধ্যে অফিস সহকারী মাহবুবুল আলম স্বপন ক্লাস নেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপ কুমার বর্ধন বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি এখনো আমার কাছে আসেনি। শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক নির্যাতন না করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি নির্দেশনা রয়েছে। খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত তথ্যের ভিত্তিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
বিবিবি/বিএস