বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে দু’দিনব্যাপী ষষ্ঠ ওয়ার্ল্ড এডুকেশন কংগ্রেস চলাকালে তাকে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদান, অন্যদের জীবনের জন্য ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ এবং সামাজিক পরিবর্তনে ইতিবাচক অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আফরাজুর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এ বছরের মে মাসে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীকে এবারের অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত করে ওয়ার্ল্ড এডুকেশন কংগ্রেস।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশে শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিবর্তনে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে বছরেরর প্রথম দিনেই বই তুলে দেয়া হচ্ছে। মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত জেন্ডার সমতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। ঝরে পড়ার হার অনেক কমেছে।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী তাজ হোটেলে এডুকেশন কংগ্রেসের উদ্বোধন করেন। শিক্ষামন্ত্রী প্রদীপ জ্বালিয়ে দু’দিনব্যাপী এই কংগ্রেসের সূচনা করেন। এসময় তার পাশে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, শিক্ষাবিদ ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী ওয়ার্ল্ড এডুকেশন কংগ্রেস অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করতে বুধবার মুম্বাইয়ে (২২ নভেম্বর) যান।
কংগ্রেসের শুরুর দিনে শিক্ষামন্ত্রী প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণকারী তিনজন শ্রেষ্ঠ প্যানেলিস্ট অস্ট্রিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার শিক্ষামন্ত্রীকে পুরস্কার তুলে দেন।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) শিক্ষামন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
এমআইএইচ/এসএইচ