‘বিসিএস ছাড়া ক্যাডার সার্ভিস নয়’ এ স্লোগানে রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করেন তারা। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ব্যানারে এ কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা।
কর্মবিরতি পালনকালে বরিশালের ৯টি কলেজে কোনো ক্লাস ও পরীক্ষা হয়নি। পাশাপাশি ৩টি অফিসে কোনো অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির জেলা কমিটির সম্পাদক মো. আকতারুজ্জামন খান বাংলানিউজকে বলেন, এ আন্দোলনের মূল বিষয় হলো শিক্ষা ক্যাডারে কোনোরুপ পার্শ্ব প্রবেশ চলবে না এবং বিসিএস রিক্রুটমেন্ট রুলস ১৯৮১ এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনো ব্যক্তিকে ক্যাডারভুক্ত করা যাবে না।
তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন কলেজ জাতীয়করণ করেছেন এটি নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। কিন্তু শুধু ওই কলেজগুলোতে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত করা যাবে না। শিক্ষকরা নন ক্যাডারভূক্ত পদমর্যাদায় থাকবেন।
এদিকে সকাল থেকে জাতীয়করণ করা কলেজের শিক্ষকদের নন ক্যাডার করার দাবিসহ চার দফা দাবিতে কলাভবনের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষকরা।
এ সময় ক্লাস ও বিভিন্ন বিষয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষাও বর্জন করেন শিক্ষকরা। বিক্ষোভকারী শিক্ষকদের জাতীয়করণ আদেশ জারির পূর্বে বিধিমালা প্রণয়ণ, বিসিএস’র বাইরে অন্য কোনো পথে শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত করা ও সম্প্রতি ১২ টি মডেল কলেজকে সরকারি কলেজের শিক্ষকদের জন্যও অনুরুপ বিধিমালা প্রর্বতনের দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
এমএস/ওএইচ/