ঢাকা, বুধবার, ২০ ভাদ্র ১৪৩১, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জবিতে ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ কোর্স সংযোজন

জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৭
জবিতে ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ কোর্স সংযোজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন

জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সব বিভাগে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কোর্স যুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে সব বিভাগে সম্মান প্রথম বর্ষে সর্বনিন্ম ৩ ক্রেডিটের ১০০ নম্বরের কোর্সে বিষয়টি পাঠদান করা হবে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

এ সময় উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরাই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে এটি চালু করেছি।

যদিও এ কোর্স এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে আগে থেকেই চালু হয়েছিলো। আমরা ঘোষণা দিলাম এজন্য যাতে দেশের আর সব বিশ্ববিদ্যালয় অনুপ্রাণিত হয়ে এ কোর্স চালু করে’।

তিনি বলেন, ‘আমাদের যেকোনো প্রগতিশীল আন্দোলনে বেশিরভাগ মানুষই বিরোধিতা করেছিলো। ১৯৬৬ সালে যখন বাংলাদেশে রবীন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধ করা হয় তখন মাত্র ১০ জন বুদ্ধিজীবী রবীন্দ্র সংগীতের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছিলেন। কিন্তু পরের দিনেই ৪০ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিষিদ্ধের পক্ষে মতামত দেন। এজন্য এখনো মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি আছে এবং দিনদিন তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে’।

‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধির ইতিহাস’র সিলেবাস কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘আগে আমরা যারা বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি তাদের কেউই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহস পড়ে আসিনি। এতে এক ধরনের ইতিহাস গ্যাপ সৃষ্টি হয়েছে আমাদের ও তরুণ প্রজন্মের মাঝে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি এই ইতিহাস পড়াই এতেই কোনো লাভ হবে না, যদি আমরা এটাকে পরিবার থেকে চর্চা করতে না পারি’।

মনোবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. কাজী সাইফুদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বিভাগে এ কোর্স চালু করেছিলাম আরও চারবছর আগে। এছাড়াও ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগেও চালু করা হয় বলে জানান রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড.অরুণ কুমার গোস্বামী।

জবি জনসংযোগ, প্রচার ও প্রকাশনা পরিচালক অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- জবি রেজিস্ট্রার ওহিদুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. প্রিয়ব্রত পাল, লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স’র অধ্যাপক জাকারিয়া মিয়া, জবি ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬. ২০১৭
ডিআর/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।