ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

তিন ধাপ বৈষম্যের অবসান চান সহকারী শিক্ষকরা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৭
তিন ধাপ বৈষম্যের অবসান  চান সহকারী শিক্ষকরা  সংবাদ সম্মেলনে প্রাইমারি সহকারী শিক্ষকরা- ছবি: কাশেম হারুন

ঢাকা: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে একই যোগ্যতার সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেলে তিন ধাপ বৈষম্যের অবসান চেয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোট। 

প্রধান শিক্ষকের একধাপ পরের গ্রেডে বেতনস্কেল নির্ধারণের দাবিতে ২২ ডিসেম্বরের আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা। অন্যথায় ২৩ ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশনের কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

শুক্রবার (০৮ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রাথমিক সরকারী শিক্ষক সমাজের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক উজ্জ্বল রায় বলেন, ১৯৭৩ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বেতন ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকের বেতন একই ছিল। ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের পরের ধাপে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ছিল। ২০০৬ সালে এই ব্যবধান ২ ধাপ হলেও ২০১৪ সালে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় তিন ধাপে।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালে ঘোষিত ৮ম জাতীয় পে স্কেল অনুযায়ী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন এবং প্রশিক্ষণ ছাড়া প্রধান শিক্ষকরা ১২তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। কিন্তু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন আর প্রশিক্ষণছাড়া সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৫তম।

একই যোগ্যতা নিয়ে চাকরিতে যোগদান করলেও সহকারী শিক্ষকরা তিনধাপ নিচে বেতন পাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, একজন প্রধান শিক্ষক যে স্কেলে চাকরি শুরু করেন, একজন সহকারী শিক্ষক সেখানে শেষ করেন। এই বৈষম্য চরম দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক। এই বৈষম্যের নিরসন করে প্রধান শিক্ষকদের পরের ধাপে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল নির্ধারণ করা সাড়ে তিন লাখ শিক্ষকের প্রাণের দাবি।

এ সময় সংগঠনের পক্ষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন জাতীয় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের সভাপতি শাহীনুর আক্তার।

তিনি বলেন, আমাদের একদফা বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ১৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় দেশব্যপী সকল জেলায় সংবাদ সম্মেলন। ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়া না হলে ২৩ ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি তপন কুমার মন্ডল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৭
পিএম/বিএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।