শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ফলাফল ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র আগের বছরের চেয়ে কঠিন হয়েছে।
তাছাড়া চলতি বছরের কয়েক দফা বন্যায় হাওর অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ার কারণ তুলে ধরেন তিনি।
জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (জেএসসি) সিলেট শিক্ষা বোর্ডে গত বছর পাসের হার ছিল ৯৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ বছর ৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ কমে এসেছে। এবার গড় পাসের হার ৮৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।
গত বছর গণিত বিষয়ে ৯৮ দশমিক ৪২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। এবার ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ কমে পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৯৩ দশমিক ৮১ শতাংশ।
ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ইংরেজি প্রথমপত্রে গত বছর পাসের হার ছিল ৯৬ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং দ্বিতীয়পত্রে ৯৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। এবার প্রথমপত্রে পাসের হার ৯০ দশমিক ০১ এবং দ্বিতীয়পত্রে ৯৪ দশমিক ০৭। ইংরেজি প্রথমপত্রে পাসের হার কমেছে ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং দ্বিতীয়পত্রে ১ দশমিক ৮ শতাংশ।
এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৬২১ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১০ হাজার ২৬৬ জন। গত বছরের চেয়ে এবার ২ হাজার ৬৩৪ জন কমেছে।
সিলেট বোর্ডের অধীনে ১ হাজার ১৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৩৫ হাজার ২০২ জন। তারমধ্যে পাস করে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৮২ জন।
বোর্ডে ১৭১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস করেছে। তবে পাসে শূন্যের কোটায় কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই বলে জানিয়েছেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কবীর আহমদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
এনইউ/আরআর