ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবি ভাস্কর্য বিভাগের বর্তমান-সাবেকদের মিলনমেলা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৮
ঢাবি ভাস্কর্য বিভাগের বর্তমান-সাবেকদের মিলনমেলা ভাস্কর্য বিভাগের পুনর্মিলনীর উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: চারুকলা অনুষদের প্রবেশ পথ দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই দেখা মিললো ভাস্কর্য দিয়ে তৈরি তোরণের। কাঠের এসব ভাস্কর্যের মাধ্যমে ফুটে তোলা হয়েছে ঐতিহ্য।

তার একটু সামনে বকুলতলা পেরিয়ে যেতেই পরিলক্ষিত হলো পুকুর পাড়ের আশে-পাশে বিভিন্ন ধরনের ভাস্কর্য। প্রতিষ্ঠার ৫৫ বছর উপলক্ষে নিজেদের শিল্পকর্ম দিয়ে এভাবে অনুষ্ঠানস্থলের আশ-পাশ সাজিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভাস্কর্য বিভাগ।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় চারুকলা প্রাঙ্গণে প্রথমবারের মতো আয়োজিত বিভাগের পুনর্মিলনীর উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান।  

আলোচনা অনুষ্ঠানে বিভাগের চেয়ারম্যান এ এ এম কাওসার হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, বিভাগের অনারারি অধ্যাপক মো. হামিদুজ্জামান খান, স্থপতি সামসুল ওয়ারেস।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ৫৫ বছর পর ভাস্কর্য বিভাগ যে অবস্থান উপনীত হয়েছে সেটি এ বিভাগের জন্য গর্বের ও মর্যাদার। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে বিভাগের পাঠ্যক্রম এক রকম ছিলো, ২০১৮-তে এসে তার মধ্যে অনেক সংযোজন হয়েছে। এ অনুষ্ঠান বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমানদের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করেছে। এটি এ অনুষদের অন্যান্য বিভাগের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

অ্যালমনাইদের উদ্দেশ্য করে ঢাবি উপাচার্য বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যায় তার অ্যালমনাইদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে। বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রেও এর প্রভাব রয়েছে। ক্যাম্পাসে থাকাকালীন সময়ে আপনাদের অনেক স্মৃতি রয়েছে। আজ সেই আনন্দঘন দিন স্মৃতিচারণের দিন। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে সেইসব স্মৃতি রোমন্থনের মধ্য দিয়ে মূল্যবোধ জাগ্রত করতে ভূমিকা রাখবে। চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা সব সময় অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে সামনেও এ চেতনা ধারণ করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন।

বিভাগের অনারারি অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান বক্তৃতা রাখতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ভাস্কর্য বিভাগের জন্য একটি বিশেষ দিন, আনন্দের দিন। ৫৫ বছর পর এটি প্রথম এসেছে।

আলোচনা সভা শেষে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি টিএসসি ঘুরে পুনরায় অনুষদে গিয়ে শেষ হয়।  

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্য রয়েছে- প্রাক্তনী সমাবেশ ও প্রদর্শনী, শোভাযাত্রা, মধ্যাহ্নভোজ, প্রাক্তনী সংঘের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন, স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগ ১৯৬৩ সালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের উৎসাহে অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করে। আধুনিক ভাস্কর্যশিল্প শিক্ষা ও চর্চার ক্ষেত্রে বিভাগটি অবদান রেখে চলেছে। এই বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী দেশ-বিদেশে ভাস্কর হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৮
এসকেবি/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।