ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রথমবারের মতো ব্রুসেলোসিস সংক্রামক রোধে গবেষণা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৮
প্রথমবারের মতো ব্রুসেলোসিস সংক্রামক রোধে গবেষণা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাকৃবি (ময়মনসিংহ): বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মানুষ ও গবাদি পশুর ব্রুসেলোসিস নামক সংক্রামক রোগের মলিকুলার ডায়াগনোসিস, চিকিৎসা ও প্রতিকারের লক্ষ্যে দেশে প্রথমবারের মতো একটি গবেষণাগারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

শনিবার (১০ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে ‘লাইভস্টক অ্যান্ড হিউম্যান ব্রুসেলোসিস’ নামক গবেষণাগারটি উদ্বোধন করেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ডাইরেক্টর (লাইভস্টক ও ফিসারিজ) ড. কাজী এম কমরউদ্দিন।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের মেডিসিন বিভাগের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মেডিসিন বিভাগ।

সম্মেলনে বলা হয়, ওই গবেষণাগারটিই বাংলাদেশের প্রথম গবেষণাগার যা ব্রুসেলোসিস নিয়ে উচ্চতর গবেষণা করার সুযোগ সৃষ্টি করবে।

সংবাদ সম্মেলনে মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ব্রুসেলোসিস একটি সংক্রামক রোগ যা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। ব্রুসেলোসিস রোগটি পশু থেকে মানুষে এবং মানুষ থেকে পশুতে স্থানান্তরিত হতে পারে। রোগটি মানুষ, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, শূকর এবং কুকুরে হয়ে থাকে। ব্রসেলোসিস রোগের ব্যাকটেরিয়া তাপে নষ্ট হয় না। ফলে আক্রান্ত পশুর দুধ ও মাংস রান্না করার পরেও ব্যাকটেরিয়াটি ধ্বংস হয় না। তাই ব্যাকটেরিয়াটি খুব সহজেই পশু থেকে মানুষে স্থানান্তরিত হতে পারে। ছবি: বাংলানিউজআমাদের দেশে ব্রুসেলোসিস রোগটি শূকর এবং কুকুরের মাধ্যমে কম ছড়ালেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গরু, মহিষ, ছাগল এবং ভেড়ার মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। ব্রুসেলোসিস সংক্রমিত মানবদেহে দুর্বলতা, পেশি ও জয়েন্টে ব্যথা, মাথা ধরা, জ্বর উঠা-নামা করা, লিভার ও প্লীহার আকার বড় হয়ে যায় এবং রাতে ঘাম দেখা যেতে পারে। আক্রান্ত মায়ের দুধ পানের ফলে শিশুদের মধ্যেও রোগটি দেখা যায়।

এছাড়া গবাদি পশুর দুধ উৎপাদন হ্রাস, বাচ্চার মৃত্যু, প্রজনেন ব্যাঘাত, গর্ভফুল আটকে যাওয়া, জরায়ু প্রদাহ ও প্রজনন ক্ষমতার অক্ষমতার জন্য রোগটি দায়ী।

সংবাদ সম্মেলনের পরে সকাল ১১টার দিকে ব্রুসেলোসিস রোগের ওপর এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. প্রিয় মোহন দাস।

এছাড়া ভেটেরিনারি অনুষদের সব বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও গবেষক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অধ্যাপক ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৮
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।